পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুযাখালীর দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শখের বশে নিজ বাড়ির আঙিণায় বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ও দেশি আম গাছের চারা রোপন করতে দেখা গেছে। গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙিন আম। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো আম। দেশের প্রচলিত পাকা আমের রঙ হয় লাল। তবে এগুলো পাকলে পুরোটাই হয়ে যায় হলুদ, লাল, বেগুনি রঙের।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ গ্রামের কৃষক মো.সুলতান সরদার জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে তার চাষকৃত অত্যন্ত দামী ও সুস্বাদু গাছের মধ্যে আর টু ই টু, পিন ম্যাংগো, জিয়াংমাই, ফিলিপাইন সুইট, বিদেশী ও দেশি আমের মধ্যে রয়েছে হাড়ি ভাঙ্গা, আম্রপালি, কাঁচামিঠা আম চাষে তিনি বেশ লাভবান হবেন বলে মনে করেন। তিনি প্রতিকেজি আমের মূল্য দুই থেকে তিন শত টাকা বিক্রি করে পরবেন। এতে এবার লাখের বেশি টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। আমাদের এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশী আম কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে চাষ করা হলে তারা বেশ লাভবান হবেন।
সদর ইউনিয়ন কাটাখালি গ্রামের মো.আলম হাওলাদার বলেন,আমি প্রতি বছরে আম চাষ করি কিন্তু গতো বছরে চেয়ে এই এইবছরে ফলেন ভালো দেখা গেছে। তাছার এবার আমি এক একর জমিতে ৬ জাতের আম চাষ করছি যেমন হাড়ি ভাঙ্গা, আম্রপালি, কাঁচামিঠা, তোতাপুরী, মিশ্রিদানা ইত্যাদি ফলন ও ভালো হযেছে।
যা দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করবো।এরআগের বছর ৫৫ হাজার টাকা বিক্রি করছিলাম,তবে এই বার আমার গাছের আম ৯০ হাজারে বেশি বিক্রি করতে পাবো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে আম গাছের চারা, মেশিন, বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে সবসময় খোঁজ খবর রাখেন। প্রতিটি আমের ওজন তিনশত থেকে আটশত গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছের উচ্চতা চার থেকে আট ফুট পর্যন্ত। এসব গাছে পর্যাপ্ত ফলন ধরেছে।
জানা যায়, এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় আমের বাগান করতেছে। যা দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ কেউ স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করেছে। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় পতিত জমিতে আমের বাগান করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, আমরা আম চাষীদের সেচ ও বালাই দমনের জন্য নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন ভালো জাতের আম চাষের জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকি, যারা নুতান ভাবে বিদেশী আম চাষে কৃষকরা আগ্রহী হলে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক ভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে এবং এসব আম চাষে কৃষকরা যাতে উৎসাহিত হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার