এম মনিরুজ্জামান, পাবনা: সুজানগরের গাজনার বিলের জেলেদের মাছ শিকারে প্রভাবশালীদের বাধা প্রতিবাদে জেলে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ ও কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।শনিবার দুপুরে পাবনার সুজানগরের হাটখালী ইউনিয়নের গাজনার বিল পাড়ে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়। জেলে সম্প্রদায়ের দাবি ইজারার নামে স্থানীয় প্রভাবশালী রতন মাস্টার তাদের বিলে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে এবং নানাভাবে হয়রানি করছেন। বিলে মাছ ধরতে না পারায় শত শত জেলের মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,পরি হালদার, পলান হালদার, জালাল উদ্দিন, করিম উদ্দিন শেখ, আসলাম বিশ্বাস, ফিরোজ খা, আরিফ বিশ্বাস, মজনু শেখ, জগন্নাথ সন্ন্যাসী প্রমুখ । বক্তারা বলেন,বিলের কিছু ক্যানাল ইজারা নেন রতন মাস্টারসহ এলাকার প্রভাবশালী মহল। কিন্তু রতন মাস্টার বিএনপি করলেও ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার যোগসাজশে পুরো বিলই দখলে নিয়েছেন।
রতন মাস্টার জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে জেলেদের বিল থেকে বের করে দেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসী বাহিনীর সাহায্যে জেলেদের বিল থেকে বের করে দিয়েছে। এতে শত শত জেলে বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তারা আরও বলেন, আমরা এই বিলে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করি। রতন মাস্টারের ভয়ে বিলে নামতে পারছি না। আমাদের সংসার চালানোই এখন দুঃসহ হয়ে পড়েছে।
মানববন্ধন শেষে অভিযুক্ত রতন মাস্টারের কুশপত্তলিকা দাহ করেন জেলেরা।তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রতন মাস্টার। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার নামে কোনো বিলের ইজারা নেই। আমার প্রতিবেশী ও চাচাতো ভাইয়েরা হয়তো সমিতির নামে ইজারা নিয়েছেন। আমি বিএনপি করি এজন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুর কাজমীর জামান খান বলেন, রতন মাস্টার সমিতির নামে ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু তিনি জেলেদের ওপর জোরজবরদস্তি করেন। তিনি শুধু বিলের ক্যানাল ইজারা নিয়েছেন। বাকি অংশে জেলেরা মাছ ধরতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমনঃ প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ ফয়সাল হাওলাদারঃ বার্তা সম্পাদক জুয়েল খন্দকারঃ মফস্বল সম্পাদক খালেদ মাহমুদঃ অফিস: ২৪.২৫ দিলকুশা (৫ম তলা).মতিঝিল বা/এ ঢাকা-১০০০। bdccrimebarta@gmail.com / 01732379982
ইপেপার