মো. রুবেল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ ট্রেনের টিকেটসহ ৫ টিকেট কালোবাজারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত টিকেট কালোবাজারিরা হলেনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর মোড়াইল রেল কোয়ার্টার এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে- মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে-মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার মোঃ ওসিউর রহমানের ছেলে-মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), কাজিপাড়া দরগা মহল্লা এলাকার মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে-মোঃ শাহিন মিয়া (৪০), এবং কসবা উপজেলার মনকাশাইর গ্রামের মৃত শামসু মিয়া ওরফে মুর্শিদ মিয়ার ছেলে-মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)।

র‌্যাব-৯ সিলেট এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সুহেল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্র অবৈধ ভাবে ট্রেনের টিকেট জনসাধারণের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাউন্টারে টিকেট সংকটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রগুলো বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট সংগ্রহ করেন এবং পরে সেগুলো বেশি দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে।

এসকল কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখার পর এরকম একটি সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্রের সন্ধান পায় র‌্যাব-৯। এরই ধারাবাহিকতায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ০৯.৩০ মিনিটের দিকে আখাউড়া রেলওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি চক্রের ৫জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ সময় তাদের নিকট থেকে নিজের ব্যবহৃত স্মার্টফোন ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ের ১২৯ টি আসনের ৫৯ টি অনলাইন টিকেট, বিভিন্ন মডেলের ৭টি মোবাইল ফোনসহ টিকেট বিক্রয়ের নগদ ৪৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এবং গ্রেফতারকৃত কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫(উ) ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামী এবং জব্দকৃত টিকেট ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ আখাউড়া রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা।

তিনি আরো বলেন,টিকেট কালোবাজারি চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।