ভোলা প্রতিনিধি : বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকরা। আগুন দেয়া হয়েছে আরও ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে এসে যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।
পুলিশ জানায়, বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষে দু’পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর ও গুরুতরদের বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আজ সকালে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে আসা বিভিন্ন দূর-দূরান্তের সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই আবার রয়েছে বাস ছাড়ার অপেক্ষায়। কেউ কেউ আবার থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন কর্মস্থল ও গন্তব্যে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনাতে বাস বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে থ্রি হুইলারসহ ছোট যানবাহনের চালকরা। ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন। তাই বাধ্য হয়ে করেই যাচ্ছেন গন্তব্যে। দ্রুত বাস চলাচলের দাবিও করেন যাত্রীরা। এর আগে, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডের একটি অংশ সিএনজি চালকদের দখল করে রাখাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা বাধে। পরে বিষয়টি উভয় পক্ষের সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় দুইটি বাস ও কয়েকটি সিএনজিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় ৮/১০টি বাস ও বেশ কয়েকটি সিএনজি। এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন। পরে, রাতেই পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার