নিজস্ব প্রতিবেদক
মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের মৎস্য শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার সময় কিভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পটুয়াখালীর জেলেরা। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঠিকমতো ইলিশ ধরা যায়নি বলে জানান তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় আরও পেছানোর দাবি মৎস্যজীবীদের।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে প্রতি বছরই মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ। ১২ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২২ দিন চলবে এ অভিযান। এসময় নদী ও সমুদ্রে বন্ধ থাকবে সব ধরনের ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, মজুদ, পরিবহন ও বিপণন। নিষেধাজ্ঞাকালে সম্পূর্ণ বেকার উপকূলের জেলেরা। এ কারণে চিন্তিত পটুয়াখালীর মৎস্যজীবীরা। তারা জানান, এবছর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আড়াই মাসের বৈরি আবহাওয়ার কারণে ঠিকমতো মাছ ধরা যায়নি। এ অবস্থায় এনজিও ও দাদনের ঋণের টাকা পরিশোধ করে বিপাকে তারা।
পটুয়াখালী জেলা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, মৎস্য নিষেধাজ্ঞাকালে সময়মতো জেলেদের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাবে। ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা হিসেবে কার্ডধারী জেলেরা প্রত্যেকে ২৫ কেজি করে চাল পাবেন।
উপকূলীয় এ জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮৪ হাজার। তবে এর বাইরেও এ জেলার অর্ধ লাখ জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু নিবন্ধন তালিকায় নাম না থাকায় সরকারের সকল সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন এসব জেলেরা।