বিশেষ প্রতিনিধি: দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ ও গ্লোবাল নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত দুটি সংবাদ মিথ্যে গল্পে সাজানো সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোঃ সালাহউদ্দিন। সালাহ উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার খড়কী গ্রামের আবু তাহের মিয়ার পুত্র। তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে এস.আই মামুন নামে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া এক যুবক। তার কথামত চাঁদার টাকা না দেয়ায় দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ ও গ্লোবাল নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম নামক অনলাইন পোর্টালে এবং তার নিজের ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট “বহিষ্কৃত দলিল লেখক সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ” ও ১৭ আগস্ট “দলিল লেখক সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় নায়িকা পায়েল” শিরোনামে দুটি সংবাদ ছবিসহ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরিবেশন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় এসআই মামুন নামে এক সাংবাদিক। প্রকাশিত দুটি সংবাদকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবি করে সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রকাশিত সংবাদ দুটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়। বিগত দিনেও বিভিন্ন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার করেছে।
ওই সাংবাদিক অপসাংবাদিকতার সাথে জড়িত। সংবাদকে পুঁজি করে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে, দুটি সংবাদে যে ভাষা ব্যবহার করেছে তা সাংবাদিকতায় কিংবা সম্পাদক ও সংবাদপত্রের নীতিমালায় পড়ে কিনা আমার জানা নেই। যদি নীতিমালায় না পড়ে, তাহলে প্রকাশিত সংবাদের উত্তর দেওয়া ছাড়া আমার করণীয় কি জানতে চাই? তিনি বলেন, যে দুটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, যা প্রকাশ করার পূর্বে আমার বা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কোন মন্তব্য নেয়া হয় নাই, যা গণমাধ্যমে নৈতিকতার পরিপন্থী।
প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ সালে একটি কোম্পানীর অফিসে আরিফুল ইসলাম জিয়া নামে এক ব্যক্তির সাথে ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েলেকে দেখি। ওই সময় আমি মাধবপুর চারাভাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে আরিফুল ইসলাম জিয়া অবৈধ দলিল লিখতে বললে আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েলেকে আমার পেছনে লেলিয়ে দেয়। নিয়মিত আমাকে ফোনে হুমকি ও ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। আমাকে ফাঁসাতে সিলেটের হোসাইন চৌধুরী নামে কথিত সাংবাদিককে দিয়ে নিউজ করার হুমকি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেয়।
পরবর্তীতে আর কোনো টাকা না দিলে আমাকে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। পরে জানতে পারি হোসাইন চৌধুরী ও ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েল দুজনেই স্বামী স্ত্রী এবং দুজনেই মিউজিক ভিডিও গানের মডেল। যা ইউটিউবে পাওয়া যাবে। নিরাপত্তা চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমি হবিগঞ্জ সদর থানায় জিডিও করি। পরবর্তীতে কথিত সাংবাদিক হোসাইন চৌধুরী ও ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েল হবিগঞ্জ আসে। বার লাইব্রেরীতে বসে আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিবে শর্তে একটি অঙ্গীকারপত্রে নাম দস্তখত করে চলে যায়। একপর্যায়ে আমার টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ব্লাকমেইল করতে থাকে। এক সময় হোসাইন চৌধুরী ও ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করি।
তারা ওয়ারেন্ট হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে যায়। জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে ফাহিমা চৌধুরী ফারিন উরফে পায়েলে সন্তান জন্ম দেন। ওই সময় তার স্বামী হোসাইন চৌধুরী হিসেবে জেল সুপারের খাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর ওই সন্তানের পিতার নামও হোসাইন চৌধুরী। দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিন বের হয়ে দুজনেই গা ঢাকা দেয়। কিন্তু ৫/৬ বছর পর আমাকে জড়িয়ে এসআই মামুন নামক সাংবাদিককে দিয়ে এমন এমন মিথ্যা বানোয়াট মানহীনকর সংবাদ প্রকাশে আমি বিব্রত হই এবং আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের কোনো একটি বিষয়ের সাথে নুন্যতম সম্পর্কও আমার নেই।
তিনি আরো বলেন, একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে তো যে কোনো মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার আমার আছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সাংবাদিকদের কাছে আমরা আশা করি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। বিগত দিনে জাতির যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনী আজও স্মরণীয় হয়ে আছে এবং বর্তমানেও বেশিরভাগ সাংবাদিক সত্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। অথচ, এই মহান পেশার নাম ব্যবহার করে হাতে গোনা কিছু সাংবাদিক পেশাকে যেমন কলুষিত করছে, তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ না করে ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থে সংবাদ প্রকাশ করছে এবং মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে প্রকৃত সাংবাদিকদের মাঝেও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে। জনগণের সম্মুখে ওই সকল সাংবাদিকের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য আমি আমার মতামত প্রকাশ করি। প্রকৃত সত্য আড়াল করে হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে যে মিথ্যাচার করছে তা অবশ্যই দুঃখজনক।
আমি আশা করবো যে, সাংবাদিকগণ হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে গণমাধ্যমে নৈতিকতা অনুশরণ করে সংবাদ পরিবেশন করবেন। আমি আরও আশা করবো যে, সাংবাদিকগণ হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে গণমাধ্যমে নৈতিকতা অনুশরণ করে সংবাদ পরিবেশন করবেন। তিনি উক্ত বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদটি ছাপানোর জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার