• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
Headline
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির সদস্য নির্বাচিত, এসি গোলাম রুহানী মুন্সীগঞ্জে বাবলা ডাকাতের তান্ডবে ড্রেজার-ভেকুতে অগ্নিসংযোগ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আন্দোলন যৌক্তিক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হত্যা মামলার আসামি’রা আদালত প্রাঙ্গণে চরাও হলেন বাদির ওপর, আহত হলেন ড্রাইভার মুন্সীগঞ্জে দেশি অস্ত্র ও ফেনসিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ বিয়ে-তালাকে শহরের চেয়ে এগিয়ে গ্রাম

মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক রাজনীতিবিদ এমপি মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম

Reporter Name / ১৪৭ Time View
Update : শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩

সুজন বেপারীঃ – মুন্সীগঞ্জ জেলার টংঙ্গিবাড়ি সুখবাসপুরের কৃতি সন্তান সাবেক রাজনীতিবিদ এমপি মন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ১ জানুয়ারি ১৯৩২-২৬ এপ্রিল ২০১৮ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ ও (মুন্সীগঞ্জ -৩ গজারিয়া-সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি খালেদা জিয়া সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় মন্ত্রীসভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এম শামসুল ইসলাম জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার মুন্সীগঞ্জ জেলার টংঙ্গিবাড়ি সুখবাসপুর। তিনি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের(এনডিএফ) ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ-সম্পাদক এবং ওই ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন।

১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন মেয়াদে তিনি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ বক্ষব্যাধি সমিতি, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবনে এম শামসুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তথ্য খাদ্য, ভূমি, শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি ৫ম থেকে ৮ম জাতীয় সংসদে মুন্সীগঞ্জ – ৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন হন।

তিনি মার্চ ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বানিজ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক ও জীবন এম শামসুল ইসলাম দুই ছেলে এম সাইফুল ইসলাম ও মোনাদির ইসলামকে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী জুন ২০১৫ সালে মারা যান বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বিএনপির থিংক ট্যাঙ্ক সংগঠন জি-নাইন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। মৃত্যু এম শামসুল ইসলাম ২৬ এপ্রিল ২০১৮ সালে ৮৭ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category