মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ-১ তথা সিরাজদিখান শ্রীনগর আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয় চাওয়া নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি দৈনিকে আওয়ামী লীগের মনোনয় প্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীরের বিরুদ্ধে "বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীর রাজনৈতিক আলোচনা, পরিচালনা পর্ষদের ক্ষোভ" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়াকে কেন্দ্র করে অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন দলীয় নেতাকর্মীসহ তার সমর্থকরা।
এ নিয়ে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে বিভিন্ন প্রতিবাদ মূলক পোষ্টের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাক্ষ করা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীর নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টার আব্দুর রহমান একাডেমি বিদ্যালয় ও রশুনিয়া ইউনিয়নের সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সে সময় বিদ্যালয় দুটিতে টিফিন আওয়ার চলছিলো।
এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ২-৩ মিনিট বক্তৃতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে টিফিন আওয়ার শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
বিষয়টিকে বিরূপ ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি প্রকাশ্যে আসার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া নেতা গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মাষ্টার আব্দুর রহমান একাডেমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শীবেন্দ্র চক্রবর্তী মুঠোফোনে বলেন, তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। তখন টিফিন আওয়ার চলছিলো। এখানে এসে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও তাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানানোর ব্যপারে ২-৩ মিনিটের বক্তৃতা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করে চলে যান। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, টিফিন আওয়ারে তিনি বিদ্যালয়ে আশায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে কোন ক্ষতি হয়নি এবং তার কোন অপরাধও হয়নি।
সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গোলাম সারোয়ার কবীরের সাথে বিদ্যালয় দুটিতে উপস্থিত থাকা একাধিক নেতাকর্মী বলেন, বিদ্যালয় দুটিতে প্রবেশের পূর্বে বিদ্যালয় দুটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করে টিফিন চলাকালীন সময়ে কবীর ভাই সেখানে প্রবেশ করে জণনেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার লক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট বক্তব্য দিয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে তিনি বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে যাতে কোন ব্যঘাত না ঘটে সে বিষয়টি মাথায় রেখে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে কার্যক্রম শেষ করে টিফিন শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। কবীর ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ২-৩ মিনিট বক্তব্য ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে কোন প্রকার ব্যঘাত ঘটাননি।
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রি মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়ে কবীর ভাইকে হেয় করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে কোন কুচক্রি মহলকে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে দেওয়া হবে না বরং শক্ত হাতে তাদের স্বড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে মর্মে হুসিয়ারী দেন তারা।
রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হয়েছে। তিনি কবীর ভাইয়ের জন্য ফল ও মিষ্টিসহ আপ্যায়নের বিভিন্ন ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু নিউজে তার বক্তব্য দেখলাম এর পুরোটাই ভিন্ন। বিষয়টি দুঃখজনক।
এ ব্যপারে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মনোয়ন প্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে ব্যঘাত যাতে না ঘটে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই টিফিন আওয়ারে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আমাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই পরিচালিত হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার