নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পের প্রশিক্ষণের ১৮০ কোটি টাকা নয়ছয় করে লোপাটের অভিযোগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক, তিন সদস্যের কমিটিকে আগামী ১৪ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে, কমিটিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসতেহাদ আহমদকে প্রধান এবং উপসহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান ও শাহজাহানকে সদস্য করা হয়েছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতাধীন ত্রিশাল, গৌরিপুর, হালুয়াঘাট ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেকার যুবক- যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারিভাবে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তৎকালীন উপপরিচালক ও বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক ফারহানা পারভীনসহ অন্যরা মিলে সেই টাকা নয়ছয় করে লোপাট করেন, তারা বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে বেনামি প্রশিক্ষক ও ভূয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে মনগড়া বিল-ভাউচার করে ওই বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন।
গঠিত তদন্ত কমিটিকে ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতাধীন গৌরিপুর, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া ও হালুয়াঘাটের জন্য ২০১০ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বরাদ্দকৃত অর্থের বরাদ্দপত্র, ওই সময়কালের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের নামের তালিকা, বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় বিল-ভাউচার, একই সময়ে ওই চার উপজেলায় কর্মরত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নামের তালিকা এবং সেই সময়কালের প্রশিক্ষণ মডিউলের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ১৮০ কোটি লোপাটের বিষয়ে প্রতিদিনের কাগজে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। এতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের টনক নড়ে। এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক অনুসন্ধানে নামে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার