বেলায়েত হোসেন বাবুঃ রংপুরে দিনের পর দিন জোর পূর্বক ধর্ষণ করার পর ন্যায় বিচার চাইতে গেলে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। ধর্ষিতার জবানী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার সদর উপজেলার কোতয়ালী থানাধীন মমিনপুর রেজানগরের এন্দাদুল ইসলামের মেয়ে পারভীন আক্তার (২৩) ‘সুলতানা বেগম।
পল্লী উদ্যোক্তা (উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চতকরণ কর্মসূচী প্রকল্প হতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত) সেখানে হেলপার হিসেবে কাজ করেন সেখানে সুজনার রশিদ সুজন সুপার ভাইজারের কাজ করেন। সেখানে ডে- নাইট কাজ চলে। সুজন আগে থেকেই পারভীনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
৯মাস পূর্বে একদিন নাইট ডিউটি চলাকালীন পারভীন রাত ১২টার দিকে সুতা আনার জন্য পাশের টিনসেট রুমে গেলে সুজন পিছু নিয়ে রুমে এসে দরোজা বন্ধ করে দিয়ে পারভীনকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে। লজ্জায় ধর্ষণের কথা পারভীন চেপে যায়।
এরই মধ্যে সুজন গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও দেখাইয়া পারভীনকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে বিভিন্ন জায়গায় লইয়া গিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করিতে থাকে। একইভাবে গত ৯মার্চ/২০২৩ তারিখে রাতে সুতা আনার জন্য টিনসেট রুমে গেলে আবারো জোর পূর্বক সুজন ধর্ষণ করে।
পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিষয় টি এড়িয়ে যায় এবং সময় ক্ষেপন করিতে থাকে ঘটনা টি তার বাবা হাফেজ মিয়া ও মা সুলতানা বেগমকে জানালে তারা পারভীনকে হুমকি ধামকি দিয়ে তারিয়ে দেয়। পরে ৫ এপ্রিল পারভীন তার বোন কাজলী কে নিয়ে সুজনের বাসায় গেলে সুজনের বাবা- মা দোষারোপ করে পারভীনকে তারিয়ে দেয় এবং খুন, জখম, ভয়ভীতি, হুমকি, ধামকি প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় দিষা হারিয়ে ফেলে উপায়ন্তর না পেয়ে থানায় মামলা করেন। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, মামলা টি গ্রহন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার