মাটি মামুন, রংপুর থেকেঃ রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর উপর বরাতি সেতু অবস্থিত। সেতুর দুই দিকে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। সবার চোখ নদীর জলের দিকে। উজানের ঢলের সঙ্গে ভেসে আসা কচুরিপানা জমাট বেঁধেছে। মানুষ ওই জমাট বাঁধা কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পারাপার হচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উৎসুক লোকজনের ভিড়।
গতকাল ২২ জুন ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় তারাগন্জ যাওয়ার পথে যমুনেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত বরাতি সেতুতে হাজারো মানুষের ভিড়। বাইক থেকে নেমে নদীর দিকে তাকাতেই দেখা যায়, লোকজন কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছেন। অনেকে মাঝনদীতে কচুরিপানার ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করেছেন, কেউ কেউ আবার সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন দিন আগে উজানের ঢলে ভেসে আসা কচুরিপানা বরাতি সেতুর উত্তর পাশের জমাট বাঁধে। কচুরিপানার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও নদীর ঐ অংশ থেকে কচুরিপানা সরে না যাওয়ায় স্থানীয় কিছু শিশু- কিশোর কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে। কিছু কিশোর কে ফুটবল খেলাতেও দেখা যায়। এ ঘটনা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশ-পাশের লোকজন তা দেখতে ছুটে আসেন। হাজারো মানুষের ভিড় দেখে অনেক পথচারী সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। তারাগন্জ থেকে আশা বাপ্পি ও সুজা খান বলেন, কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদীর পার হচ্ছেন, এমন কথা শুনে আমরা দেখতে এসেছি। একরচালী এলাকা থেকে আসা রুবেল বলেন, আমরা ফেসবুকে দেখে ৬ টি ভ্যানে ৪০ জন এসেছি।
এর আগে কখনো দেখিনি কচুরি পানার উপর দিয়ে মানুষ নদী পারাপার করতে। এছাড়াও রংপুর দিনাজপুরগামী অসংখ্য মটর সাইকেল আরোহীরা এ নজর দেখার জন্য বরাতী সেতুতে যাএাবিরতি করছেন। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে গিয়েছিলাম এবং নদীর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লোকজন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কচুরিপানা অপসারণে কাজে। দুই তিন দিনের মধ্যে সকল কচুরিপানা অপসারণ করা জাবে বেলেও জানান তিনি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার