রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নানা অপরাধ আর অভিযোগের মধ্য দিয়ে সৈরাচারের সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে গত ১৫ বছরে সিএনজি চালক থেকে কোটিপতি বনে গেছেন রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের ইসলাম উদ্দীন এর ছেলে মোতালিব। পেশায় সিএজি চালক হলেও গত ৫/৭ বছর যাবত দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় মাদক বিক্রি, জমিদখলসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করেনী। মোতালিব দাউদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। মোতালিব ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী নেওয়াজ জোড়পূর্বক কৃষকের বিশ বিঘা জমিতে বালি ভরাট করে মুতালিবের মাধ্যমে। তৈরী করেছে শতাধিক ভূয়া দলিল। কেউ প্রতিবাদ করলেই চলতো হামলা মামলা, এমন কি অবৈধ অস্ত্রের শোডাউন। নেওয়াজ ও মোতালিবের আছে কিশোর গ্যাং বাহিনী যাদের দ্বারা চাঁদাবাজি ও সমাজে নেশা বিস্তার করে বেড়াচ্ছে এখনও।
স্থানীয় কিছু বিএনপির নেতাদের ছত্রছায়ায় খোলস পাল্টে এখন সকল অপকর্মে লিপ্ত মোতালিব। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর দশেক আগে, দাউদপুরের বীর হাটাবো গ্রামের সাত্তার রাজের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মোতালিব। অবশেষে স্বামীকে তালাক না দিয়েই রাজ পরিবারের বউকে নিয়ে পালিয়ে যায় মোতালিব। পরে লোক মূখে প্রচার হয় যে সাত্তার রাজকে কৌশলে মেরে তার ও স্ত্রীর সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করারও চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয় ৪ টি মামালার আসামী হওয়া সত্তেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় এলাকায়। রূপগঞ্জ থানায় পুলিশের উপ পরিদর্শক সায়েম মামালার আয়ূ। অদৃশ্য শক্তির বলে তোতালিব এখনও অধরা। এ ব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মীদের সাথে, তারা জানান, গত ১০/১২ বছর এমন কোন অপরাধ নেই যা মোতালিব করে নাই।
পুলিশের সোর্স হিসেবে এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের সকল খোঁজ দিয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তাদের করা হতো হয়রানী। অনেকের কাছ থেকে গোপনে টাকা নিয়ে করা হতো তাদের সাথে রফাদফা। টাকা না পেলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে আওয়ামিলীগের কোন না কোন পেন্ডিং মামলায় ফেলে তাদের করা হতো সর্বশান্ত। সৈরাচার পতনের পর তাকে প্রায়ই বিভিন্ন নারীর সাথে সক্ষতা করে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সাম্প্রতি যমুনা ব্যাংক হাটাবো উপ শাখার তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী মালাকে নিয়ে বিমানে ভ্রমন করেন কক্সবাজার। হোটেল কল্লোলে গানের তালে তালে নেচে গেয়ে বেড়ান দুজনে। তারই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। শুরু হয় তোলপাড়। এ ব্যাপারে ভিডিও ধারনসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার কারনে অনেককে হুমকীও দেয় মেতালিব। এ ব্যাপারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে দিন থেকে আমার হুস ফিরেছে সে দিন থেকে আমি মোতালিবকে আমার স্বামী বলে পরিচয় দিতেও আমার ঘৃনা হয়। সে একটা দুষ্চরিত্র, লম্পট। মালা নামের একটা নষ্টা মেয়ের সাথে একাধিক বার বিভিন্ন জায়গায় ধরার পর মোতালিবকে নারী নেশা থেকে ফেরাতে মালাকে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে মেরেছি। তার পরও ওই নারী ও মোতালিবের লজ্জা হয় না। তার প্রথম স্ত্রীর কথা আমার কাছে গোপন করে আমাকে বিয়ে করে, আমি জানতে পেরেও তাকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু প্রায়ই তার ব্যাপারে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারী শুনতে শুনতে আমি তার প্রতি ঘৃনা জন্মে গেছে। নর্দমার ময়লার দিকে তাকালেও তার দিকে তাকাতে মন চায় না। আমার ঘরে ফুটফুটে তার একটি সন্তান আছে আগের ঘরে আছে তিনটা তার পরও তার নারী লিপ্সা যায় না। সে আমাকে অতিষ্ট করে ফেলেছে, তাই আমি প্রায় দুই বছর যান্বৎ তার থেকে আলাদা থাকি৷ শুধু তাই নয় স্থানীয় সলিমউদ্দীন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রের বরাত দিয়ে সাইদুর রহমান বলেন, আমরা যখন বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করি তখন কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড় মোতালিব ও তার স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুন্ডা বাহিনী সরাসরি ছাত্রদের উপর লাঠি চার্জ এমন কি প্রকাশ্যে গুলি গুলি চালায়। এতে ফয়সাল নামে আমারই এক সহপাঠি গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মোতালিব একাধিক অবৈধ অস্ত্র নিয়ে নেওয়াজ ও তার গুন্ডা বাহিনী প্রায়ই জমি দখলের দাউদপুরের নাগদা গ্রাম ও তার আশপাশে এমন মহরা দিতো। এলাকাবাসী এখনও তার ভয়ে আতঙ্কিত। যদিও সে ৫ই আগষ্টের পর থেকে গা ডাকা দিয়েছে, কিন্তু প্রাইয় গোপনে এলাকায় এসে বিভিন্ন লোকজনকে হুমকী ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছে। তাই এলাকাবাসী দাবী তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার