শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে কিছুদিন যাবত দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ডাক্তার এবং স্টাফদের মধ্যে মতপার্থক্য বিরাজ করেছিল। মেডিকেলের অভ্যন্তরীন সমস্যা নিয়ে দুটি পক্ষই এলাকার মানুষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধনও করেন। এছাড়াও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগও করা হয়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা ও মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ২ টি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করেন।
সুনামগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে অফিস সহকারী নিশিকান্ত তালুকদারকে শাল্লা হতে তাহিরপুরে বদলী করা হয়েছে। অন্যদিকে মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনকরে ২৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) রবিউল আকরামকে শাল্লা হতে ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিপত্রে দিনাজপুর সদর মেডিকেলে বদলি করা হয়েছে।
শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ রবিউল আকরাম বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। উনি মেডিকেলের গোপনীয় নথি বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তির কাছে ওয়াটসএপে সেন্ড করেছেন। জনপ্রিয় এক চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে ১৮ সেপ্টেম্বর থানায় জিডি করে ফোন কলের কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্প্রেড আউট করেন।
নাম অপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেলের এক কর্মকর্তা বলেন, উনি শাল্লা আসার পূর্বে শেরপুরের নকলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকাকালীন এক মহিলা ডাক্তারকে সেক্সচুয়াল হেরেসমেন্ট ও এম্বুলেন্স ড্রাইভারের সাথে মারামারিতে জরিয়ে পরেন। প্রয়োজনে আপনারা তথ্য নিতে পারেন। এরই ঘটনায় তিনি শাস্তিসরূপ শাল্লা মেডিকেলে বদলি হয়ে আসেন। এখানে এসেও তিনি বাজে মন্তব্য ও উল্টাপাল্টা কাজ করেছেন।
এবিষয়ে ডাঃ রবিউল আকরাম কে বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে শাল্লা মেডিকেলের স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেলিনা আক্তার বলেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ .তাকে বদলি করেছে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই ডাক্তার ও নার্সরা খুবই সন্তোষ্ট।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার