শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:- মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ৫ একর জায়গা ও বেআইনী ভাবে আত্মসাৎ করা ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানিয়েছেন অভিযোগকারী। দীর্ঘ ৫০বছর ধরে নীল কমল দাস, বাদল শাহ, রতন ঠাকুর, মুক্তি দাস, বিশ্বজিৎ দাস, কমল দাস, তাজল মাদবর, নুরুজ্জামান মেম্বার, খোকন মোড়ল, নুর ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান, আনোয়ার হোসেন সাবেক মেম্বার, নুর ইসলাম মাস্টার, শাহীন মোড়ল বর্তমান মেম্বার মিলেই শ্বশানের অনুদানের টাকা ও জায়গা বেহাত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।
শাহরিয়ার পিতা মরহুম জয়নাল আবেদিন সরকার বাঘড়া, শ্রীনগর। জালিয়াতি ও প্রতারণা করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম, রতন ঠাকুর, বাবু দাস, সুজন মোদক, নিলকমল দাস, নুরুজ্জামান। এই সিন্ডিকেটটি শ্বশাসেনর নাম দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির তহবিল থেকে অনুদান গ্রহণ করে আত্মসাৎ করে আসছে ৫০ বছর যাবৎ। শ্বসানের কোন খাত না থাকা সত্বেও শ্বশানের নামে বরাদ্ধ নিয়ে এই সিন্ডিকেটটি দীর্ঘ বছর ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে বলে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে শাহরিয়ার নামের বাঘরার একটি জনৈক ব্যক্তি।
জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বাঘড়া ইউনিয়নে বিতর্কিত শ্বশানের নামে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে একটি গ্রুপ। মুষ্টিমেয় কয়েকজন হিন্দু ও মুসলিম মিলে এই ঘটনাটি ঘটিয়ে চলছেন। বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম, রতন ঠাকুর, বাবু দাস, সুজন মোদক, নিলকমল দাস, বাদল শাহ, নুরুজ্জামান ওয়ার্ড মেম্বার। বাসুদেবের বাড়ির অংশেই শ্বশানের রেকর্ডীয় সম্পত্তি রয়েছে যা ৩০ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে।
এই রেকর্ডীয় শ্বশান দেখিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির তহবিল থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর ধরে অনুমান ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ সময়গুলোতে কেউ সভাপতি সেজেছে আবার কেউ সদস্য সেজেছে। শ্বশানের নামে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে যার প্রমাণ রয়েছে রশিদে। শ্বশানের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয় অথচ বাঘড়া শ্বশানের চিতা জালানোর কোন ঘর নেই। এই শ্বশান নামক বিষয়টির কোন অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি এখন পর্যন্ত। হাতিয়ে নেয়া সরকারি টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করার লক্ষ্যেই বহুদিন ধরে দ্বন্ধ ও সংঘাত চলে আসছে।
বাসুদেবের বাড়িতে যে শ্বশানের রেকর্ডীয় জায়গা সেই জায়গা নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা করে রাধে ঘোষ নামে এক ব্যক্তি পেশি শক্তির মাধ্যমে বাসুদেবের মন্দির ও শ্বশানের রেকর্ডকৃত জমি তার কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তড়িৎগতিতে বাঘড়া বাজারে অস্থায়ী গরুর হাটে শ্বশান নির্মাণের প্রস্তাব করে।
এ বিষয়ে নীল কমল দাস জানান, ২০০২ সালে বি চৌধুরী যখন রাষ্ট্রপতি তখন ২০ হাজার টাকার অনুদান পেয়েছিলাম। তা বাদল সাহা উত্তোলন করেছে। ৫ কোটি টাকার বিষয়টি যে সাংবাদিক তথ্য দিয়েছে সে জানে। পরবর্তীতে তিনি বলেন, নদীর পাড়ে শ্বশানের জায়গা দিয়েছেন। এই টাকাটা শ্বশানের কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক নেতা তাজুল মাদবর জানান, শ্বশানের নামে অনুদান উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বর্তমানে শ্বশান নেই। পরবর্তীতে অনুদানের ৫ কোটি টাকা ভাগভাটোয়ারার কথা বললে তিনি তার সেলফোন কেটে দেন।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোঃ সাইদুর রহমান রিমনঃ সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ ফয়সাল হাওলাদারঃ বার্তা- সম্পাদক মোঃ জুয়েল খন্দকারঃ অফিস ২৪/২৫ দিলকুশা (৫ম তলা).মতিঝিল বা/এ ঢাকা-১০০০।
bdccrimebarta@gmail.com..mob, 01732379982..www.bdccrimebarta.com
ইপেপার