সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নীতিমালা না মেনে স্বর্ণের দোকানে এসিড ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণের দোকানে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে নাইট্রিক ও সালফিউরিক অ্যাসিড। এসিড পোড়ানোর নীতিমালা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। ফলে স্থানীয় মানুষের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, স্বর্ণের গহনা তৈরির জন্য এসিড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য নাইট্রিক এসিড দিয়ে পোড়াতে হয়। আর গহনার সৌন্দর্য্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। সালফিউরিক এসিড।
ব্যবহারের সময় এই এসিড বাতাসে মিশে বিষাক্ত জ্বলীয় বাষ্পে রূপ নেয় এবং তা শ্বাস- প্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ সহ নানা জটিল রোগ দেখা দেয়। উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়। এসিড পোড়ানোর জন্য আলাদা কক্ষ ও চি- মনি ব্যবহার করার বিধান থাকলেও কোন দোকানেই সেটি দেখা যায়নি।
এসব স্বর্ণের দোকানের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই। পৌর এলাকা সহ পুরো উপজেলায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রায় ৭০টির মত স্বর্ণের দোকান। দোকান গুলোতে সোনা পোড়ানোর কাজে অবাধে এসিড ব্যবহৃত হলেও দেখার কেউ নেই।
শ্যামনগর পৌর এলাকার দোকানদার অসীম বলেন, আমার দোকানের পাশেই এসিড পোড়ানো হয়। ধোঁয়ার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। দোকানদার সবুজ জানান, দোকানে গ্রাহক এলে এসিড পুড়ানোর গন্ধে শ্বাসকষ্টের কারণে দোকান থেকে গ্রাহক চলে যায়। তাতে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হয়। শ্যামনগর পৌরসভার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান জানান, নাইট্রিক এসিড নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আছে। যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সালফিউরিক এসিডে ও প্রায় একই রকম ক্ষতি হয়। এর প্রভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ছাড়াও হার্টের সমস্যা হতে পারে।
এ বিষযয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আকতার হোসেন বলেন, নীতিমালা মেনেই স্বর্ণকারদের ব্যবসা করতে হবে। নীতিমালা ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার