নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিগত সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার কারণে সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক'কে বিগত সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, দ্রুত বিচার, মানহানি সহ ৫৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছিল। এসব মামলার বেশিরভাগই করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, এমপি,পুলিশ কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের দোসরা।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান, আমার জানা মতে দেশের কোথাও কোন সাংবাদিকের নামে এত মামলা হয়েছে কিনা, তা আমার জানা নেই। শুধু মামলাতেই সীমাবদ্ধ নয়, সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাঙচুরের অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছিলেন ঠিকাদার। এছাড়াও তদন্তের নামে গায়েবি প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন ময়মনসিংহের তৎকালীন পিবিআইয়ের এডিশনাল এসপি আবু বক্কর সিদ্দিক ও এসআই রুবেল।
যার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বডিগার্ড এক ক্যাপ্টেনের আদরের শাশুড়ি। সাংবাদিক রফিক বলেন, আমার বড় ভাই বিএনপি রাজনীতি সাথে জড়িত থাকায় আমাকে বিভিন্ন সময় ছাত্রদলের ক্যাডার হিসেবে তকমা দিয়ে বারবার কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় শতাধিক অভিযোগ করা হয়েছিল।
খায়রুল আলম রফিক জানান, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে কতবার যে আয়না ঘর বা আমার লাশ গুম করার হুমকি পেয়েছি, তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। এরপরও আমি কখনো এসব নিয়ে উচ্চবাক্য করিনি বা কাউকে কিছু বুঝতে দিইনি।
কারণ, আল্লাহ আমাকে এমন ভাবে সৃষ্টি করেননি যে মৃত্যু'কে ভয় করব। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে হাজারো শোকরিয়া আদায় করি। এত কিছুর পরও কোনো সময় উচ্চবাক্য করিনি, এখনো না। আমি এসব বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করব, সেটা চিন্তা করিনি; নিজেকে জাহির করাও আমার খুব অপছন্দের। তারপরও হঠাৎ অনেকটা বাধ্য হয়ে আজ দু'কলম লিখেছি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার