নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সৃষ্টি চলতে থাকলেও সাংবাদিক সমাজের কোনো অভিভাবক সরাসরি বলতে পারলেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মায়ের মমতা নিয়ে এগিয়ে আসুন, শান্তি সমঝোতায় আপনিই উদ্যোগ নিন। আপনি তো শান্তিবাহিনীর মতো আন্ত:দেশিয় সহিংসতাকেও একক উদ্যোগে সমাপ্তির রেখা টেনে দিতে পেরেছিলেন,বারুদের গন্ধ সরিয়ে সেখানে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে পেরে ছিলেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম দাবি দাওয়ার বিষয়টি তো আপনার কাছে নস্যি। কিন্তু ন্যায্য কথাটুকু বলার জন্য একজন অভিভাবক সাংবাদিকের শক্ত হাতে কোমলতা মিশিয়ে পরামর্শসূচক এক লাইনও লিখতে দেখলাম না। কেন? ভয়ে? বিরাগভাজন হতে পারেন- তাতে গোপন ধান্দাবাজি বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কায়?
মুরুব্বি সাংবাদিকদের সিংহভাগই তো আর এখন সাংবাদিকতাকে মূখ্য পেশা হিসেবে ভাবেন না, কেবলই সাইনোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তারা এখন সরকার প্রদত্ত নানারকম প্রকল্প পরিচালনা করে থাকেন সংগোপনে। অতএব পেশাটির চেয়ে তাদের কাছে সরকার সংশ্লিষ্টতাই অধিকমাত্রায় আপন হয়ে উঠবে এটাই সাভাবিক। মোটা গদির সোফায় বসে বসে নিজেদের শারিরিক মেরুদন্ড যেমন বক্র বানিয়ে ফেলেছেন, মানসিক মেরুদন্ড তো আরো আগেই বিকিয়ে দিয়েছেন।
“রিপোর্টিংয়ের শুরুই যখন হয় আদালতের রায়ে নির্দ্দিষ্ট হওয়া কোটা বিষয়ে আন্দোলনের চেষ্টা চালিয়ে একদল ছাত্র পরিবেশ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার পায়তারা শুরু করেছে। তারা জনবহুল রাস্তাঘাট দখল করে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তির মধ্য দিয়ে তথাকথিত আন্দোলন করতে চায়।“ মূলধারার মিডিয়ায় পক্ষপাতদুষ্ট অভিমত জড়িয়ে এ ধরনের সংবাদ তৈরির জঘন্যতা কেন জন্ম দেওয়া হলো? তারাই সাধারন মানুষের কাছে মিডিয়াকে সরাসরি প্রতিপক্ষ মাধ্যমে পরিনত করে দিয়েছেন। তারাই সাংবাদিকদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সমাজচ্যুত পেশা‘ বানিয়ে দিয়েছেন।
নিজেদের আত্মসমালোচনা করা পাপ নয়, তাতে কেউ ছোটও হয় না। নিজেদের ভুলগুলো উল্লেখ করুন আমরা তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সার্বজনীন সাংবাদিকতার ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রাণপন চেষ্টা চালাতে থাকি। এটুকু সুযোগ তো আমরা পেতেই পারি। আজ পুলিশ সাংবাদিক দের গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করার পর আমরা নিজেরাই যখন তা নিহত বা দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেই তখন সরকার হাসে, প্রেসনোট দেয়ারও প্রয়োজনবোধ করে না।
কারণ,একশ্রেণীর সাংবাদিক সরকারের হয়ে আগেই প্রেসনোট মার্কা রিপোর্ট প্রকাশ করে চলেছে। অতএব সাংবাদিকের রিপোর্ট এখন সরকারি প্রেসনোটের আড়ালেই হারিয়ে গেছে। আগে আন্দোলন, হরতালকালীন রিপোর্টগুলোর ভিড়ে প্রেসনোট নামক অলীক গল্পটুকু খুঁজে খুঁজে বের করতাম আর এখন সাধারন পাঠকরা প্রেসনোট মার্কা পুরো পত্রিকা উল্টেপাল্টে রিপোর্টারের প্রকৃত রিপোর্ট খুঁজে খুঁজে হতাশ হন।
আমার নিজস্ব অভিমত হচ্ছে-হাজারো বাধা আর রক্ত চক্ষুর কারণে যদি বাস্তব, সত্যি তথ্যটি তুলে ধরার সুযোগ না ই থাকে, তাহলে মিথ্যা কিছু না রটিয়ে সরারসরি লিখতে পারেন। আজ নিউমার্কেটে দিনভর চলা সংঘর্ষস্থলে দায়িত্বরত ছিলাম,সব নৃশংসতা দেখেছি-কিন্তিু কোনকিছুই লিখতে পারছি না, পাঠক আমাকে মাফ করে দিবেন। তাহলে একবিন্দু আস্থা তবু টিকে থাকতে পারে।
সিনিয়র সাংবাদিক, সাঈদুর রহমান রিমন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার