শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি তরুণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী জয়ন্ত কুমার সরকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সুনামগঞ্জ (২) আসনের এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা। ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেলে সাংসদের নিজ ফেসবুক আইডি থেকে শোকবার্তা প্রচার করেন তিনি। জয়া সেনগুপ্তা এমপি লেখেন-
'অকাল মৃত্যুর সংবাদে সকালটা যেন বিষাদের মনে হলো।
জয়ন্তের অনন্তকালের যাত্রার খবর কারো জন্য মোটেই সুখকর ছিলনা। স্নিগ্ধ সকালের সময়টাকে বিষাদ করে সবাইকে অপ্রস্তুত করেই হঠাৎ শিরোনামে চলে এলে তুমি। কী তাড়া ছিল তোমার! পরিবার, স্বজন, বন্ধু, পাড়া-পড়শী রেখে এ কেমন বিদায়! একজন প্রগতিশীল, সংস্কৃতিপ্রেমী ও তরুণ সংবাদ কর্মীর শুন্যতা পূরণ হবার নয়।তুমি ভাল থেকো। তোমার পরিবার ও স্বজনদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তোমার আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।'
গতকাল ১৮সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার এই মৃত্যু সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোকের বন্যা বয়ে যায়। অসময়ে জয়ন্ত কুমার সরকারের মৃত্যু সংবাদটি কেউ মেনে নিতে পারেননি। সাংবাদিক, রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন মহল থেকে শোক জ্ঞাপন করা হয়।
ওইদিন সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব দেখা দিলে পরিবারের লোকজন দিরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় জয়ন্ত কুমার সরকারের।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৪বছর। জয়ন্ত কুমার সরকারের বাড়ি দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জ্যেতিষ চন্দ্র সরকার ও মাতা মঞ্জু রাণী সরকার। মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
জয়ন্ত কুমার সরকার দিরাই পৌর শহরের উপজেলা রোড আনোয়ারপুরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদ ও আন্তর্জাতিক রাধারমণ ধামাইল সংঘ দিরাই শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করে গেছেন উদীচীর দিরাই শাখার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার