স্টাফ রিপোর্টারঃ- দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, পিরোজপুর জেলা জার্নালিষ্ট ক্লাবের সহ সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহি সদস্য সোহেল সর্দার সহ ৩ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরের সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হয়রানীর মূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানহানী মামলা দায়েরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন পিরোজপুরের সাংবাদিক সমাজ। মামলাটি করেছেন ভান্ডারিয়ার মিনু আক্তার নামে এক মহিলা। মামলা দায়েরের পর সাংবাদিক সংগঠনের মাঝে নিন্দা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মিনু আক্তার গত ২৯ আগস্ট চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। যথারীতি টোকেন সংগ্রহ করে চিকিৎসককে দেখিয়ে ঔষুধ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় হাসপাতালের নার্স আরিফা আক্তার তার ভিডিও করে সাংবাদিকদের দেন এবং সাংবাদিক সোহেল সরদার সহ আরও ২ সাংবাদিক প্রশাসনের কাছে খরর দিলে প্রশাসনের লোক তার ব্যাগ তল্লাশি করে টোকেন ব্যতিত অন্য কোনো ঔষধ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেন। এতে মিনু আক্তারের মান- সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে নার্স আরিফা আক্তার, দৈনিক কলমের কন্ঠের লোকমান হোসেন, দৈনিক আমাদের বরিশাল ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি শাহজাহান হোসেন, সোহেল সরদারকে বিবাদী করে পিরোজপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রকৃত ঘটনা হলো- নার্স মনি আক্তারের সহযোগিতায় মিনু আক্তার হাসপাতালের ইনডোরে স্টোরে প্রবেশ করে করলে ইনডোরের ভেতরের একটি ভিডিও তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের কাছে চলে আসে। তখন সংবাদিক সোহেল সরদার সহ অন্যান্য সংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান এবং ভিডিওটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা নারী ধরকে ভিডিওটি ফরোয়ার্ড করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে থানা পুলিশের একটি টিম এসে সাংবাদিকদের সামনে মিনু আক্তারকে কোন রকম তল্লাশি না করে তার কাছে সরকারী ওষুধ আছে কি না জানতে চেয়েছেন। তখন মিনু আক্তার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টোকেনে মাধ্যমে আউটডোর থেকে কিছু ওষুধ নিজের জন্য নিয়েছি।
সাংবাদিক সোহেল সরদার জানান, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের অনিয়ম নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করায় গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে মিনু আক্তারকে দিয়ে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যে ভিডিও ফুটেজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন তাতে স্পষ্ট দেখা যায় ইনডোরের মেডিসিন স্টোর রুমে নার্স মনি আক্তার মিনু আক্তারকে মেডিসিন স্টোর রুমে প্রবেশ করেন যেটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ম বহির্ভূত।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ ও মোঃ মুফতি কামাল হোসেন, আর এম ও কামাল হোসেনকে বলেন- ইনডোরে মেডিসিন স্টোর রুমে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে মিনু আক্তার নার্স স্টোর ইনচার্জ কেন ওই মহিলাকে নিয়ে মেডিসিন স্টোর রুমে গিয়েছিলেন? এবং মামলায় যে দোকানে তল্লাশি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় মিনু আক্তারের ব্যাগ কেউ তল্লাশি করেনি। অতএব এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট, সিনিয়র সহ সভাপতি ও দেশ বাংলার সম্পাদক সাইদুর রহমান রিমন, সাধারণ সম্পাদক জসিম মাহমুদ, সার্ক জার্নালিষ্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপাটারের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক নাজমা সুলতানা নীলা সহ পিরোজপুর জেলা ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার