শরিফুল ইসলাম (পাবনা) থেকেঃ পাবনার সুজানগরে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েই চলছে। এরই সুত্র ধরে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওহাবের নেতাকর্মী এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নেতাকর্মীদের উভয় পক্ষের মাঝে হামলা বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব গণ-মাধ্যম কে জানায় স্পিডবোর্ড অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে আমার ও কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের ছবি ছিলো কিন্তু সাবেক সুজানগর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুজ্জামান শাহিন এর লোকজন আমাদের দুইটি ছবি ছুড়ে ফেলে দেয় আর এই ছবি'কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। সেই সাথে যার বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কে অবমাননা করেছে সঠিক তথ্য পেলে তাদের অবশ্যই আইনেওতায় আনা হবে।
এবিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহনুজ্জামান শাহীন জানায় তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন, জনগনের সেবা না করে উল্টো বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। জনগণের সেবার নামে এটা আবার কি সেবা। যারা বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কে অবমাননা করেছে সঠিক তথ্য পেলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে এবং সঠিক বিচার করা হবে।
গত রোববার বিকেলে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ পদ্মা স্পিড বোট সার্ভিসের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাজু জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে, পদ্মা স্পিড বোট সার্ভিসের অফিস ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। দৃর্বত্তরা অফিস ভাংচুরের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি'কে অবমাননা করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিক মন্ডল জানান, গুটি কয়েক লোকের কারণে এসব ঘটনা হচ্ছে। যুবলীগ নেতা শামীম রেজা জানান, পদ্মা স্পিড বোট সার্ভিসের অফিস কে আমরা দলীয় অফিস হিসেবে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আলাপচারিতা করা হয় এখানে। সেই হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রাখা ছিল।
এলাকার চিহ্নিত দৃর্বত্তদের হামলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। অফিসে দায়িত্ব প্রাপ্ত সাহিদুল প্রামানিক জানান, হামলার সময় অফিস বন্ধ ছিল, দৃর্বত্তরা আমাদের না পেয়ে অফিস ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
খবর শুনে ঘটনা স্থলে ছুটে যান,মালফিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন। ভাঙচুর অফিস পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ঘটনা টি দুঃখ জনক। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার