নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্যের ভিত্তিতেই দুদক গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) অর্থপাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দুদকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা কলকারখানা অধিদফতরে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দুদকে পাঠানো হয়। অভিযোগগুলোর কিছু বিষয় দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক মামলা করে তদন্ত করছে। তদন্তের অংশ হিসেবেই দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ড. ইউনূসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যক্তি ইমেজের প্রভাবে দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করার সুযোগ আছে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদক কারক ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না। প্রভাবিত করারও সুযোগ নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, কাউকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেপ্তারের জন্য সুনির্দিষ্ট তিনটি বিষয় অনুসরণ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আত্মগোপন করতে পারেন কিংবা আলামত নষ্ট করতে পারেন অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন।
দুদক সচিব লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ২০১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনের অনিয়মের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব প্যাডে একটি অভিযোগ দাখিল করে। এই অনিয়ম সংক্রান্ত কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে মর্মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনসহ গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর পাঠান।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীরা অভিযোগ দিয়েছেন বিধায় দুদক কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার