জাকির হোসেন সৈয়দপুর (নীলফমারী): নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া শহীদ ডা. বদিউজ্জামান রোডে সন্ত্রাসী কায়দায় শত কোটি টাকার সম্পত্তি জবর দখল করা হয়েছে। সেই সাথে মালামাল লুটপাট, ভাঙ্চুর করেছে এবং ইট এনে দখলকৃত অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে।
এর প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় রংপুর থেকে আগত ইশতিয়াক নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক উচ্ছৃঙ্খল যুবক এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সন্ত্রাসীদের দ্বারা জবর দখল কৃত সম্পত্তি মূলতঃ শহরের সুনামধন্য ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ ওয়েল মিল কোম্পানিসহ বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিক মৃত সানাউল্লাহ এর গুদাম ঘর ও আবাসিক বাড়ি। বর্তমানে এই সম্পত্তি তাঁর দুই ছেলের সন্তানদের।
দখলের ঘটনার বিষয়ে সানাউল্লাহ ওয়েল মিলের পৈত্রিক সূত্রে বর্তমান মালিক মাসুদ আলম লিটন বেলা ৪ টায় তার ব্যবসায়ীক অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, দাদা মৃত সানাউল্লাহ জীবিতাবস্থায় তার ৮ মেয়ে ও ২ ছেলেকে যথাযথ হক বুঝিয়ে দেন। এসময় মেয়েদের সম্মতিতে প্রাপ্য ভাগের অর্থ তাদের দিয়ে ছেলেদের নামে সম্পত্তিগুলো লিখে দেন।
কিন্তু আমার বড় চাচা ও বাবা মারা যাওয়ার পর এক ফুফুর মেয়ের স্বামী রংপুর শহরের বাসিন্দা ইশতিয়াক সম্পত্তিতে অংশ দাবী করে সব ফুফুর ওয়ারিশদের নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে চলমান। এর মধ্যে গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাদী শালিসের মাধ্যমে ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দ্বারা প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করে আদালতের মাধ্যমেই নিতে বলি। কারণ তারা কোনভাবেই এই সম্পত্তিতে অংশীদার নন। তাদের দাবী সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং জবরদস্তিমুলক।
এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুর শহরের একটা রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগে বিষোদগার করে তারা। যা বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার করা হয়েছে।
আদালতে মামলা ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করে সুবিচার দাবি করেছে তারা। যদি আইনগতভাবে তারা সত্যি প্রাপ্য হন তাহলে অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আদালতের ও মিডিয়ার প্রতি আস্থা হারিয়ে তারা জবরদস্তি করে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চান।
আর তাই তারা আদালতকে অবমাননা করে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যায়ভাবে দাবীকৃত সম্পত্তি দখল করেছে। প্রায় ৮০-৯০ জনের দখলবাজ দূস্কৃতিকারীকে নিয়ে আমার গুদাম ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙ্চুর ও লুটপাট করেছে। প্রায় ৩০ শতাংশ জমি জবর দখল করে প্রাচীন তৈরী করছে।
থানায় জানানো হলে পুলিশ আসলেও নির্বিকার থাকেন এবং দখলবাজদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে উভয়পক্ষে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু প্রশাসনের এমন নির্লিপ্ততার সুযোগে দখলদাররা স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে চলেছে। সেক্ষেত্রে কোন বাধা দেয়নি পুলিশ। এমনকি পুলিশ যাওয়ার প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ফলে আমরা পুরো পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আশঙ্কা করছি তারা আমার দোকানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও দখলবাজী চালাতে পারে। কারণ তাদের সাথে স্থানীয় চিহ্নিত কিছু দখলবাজ ও সন্ত্রাসী রয়েছে। তাছাড়া কতিপয় ধান্দাবাজ রাজনীতিকও জড়িত। যারা সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সৈয়দপুর শহরে একাধিক দখলবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাই বাধ্য হয়ে সৈয়দপুরের সচেতন মহল, প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও মিডিয়ার সহযোগীতার আশায় সংবাদ সম্মেলন করছি। এসময় তিনি সরকারের উচ্চ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার