হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ২৬ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার। এই মামলা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদসহ ১৭ আসামি বেখসুর খালাস পেয়েছেন। বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন ১৪ আসামি।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি সকালে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের দক্ষিণ দিকে খোয়াই নদে ভাসমান অবস্থায় শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
১ জানুয়ারি রাত ১১ টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় ওই দিনই আব্দুল্লার স্ত্রী সাহিনা চৌধুরী অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা করেন। বানিয়াচং থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল চন্দ্র বণিক ও পরে সহকারী পুলিশ সুপার ছিদ্দিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদ, আব্দাল মিয়া চৌধুরী ও হাজী আলকাছ মিয়াসহ ৩১ জন আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তকালে অনেক সন্দেহ ভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মাঝে আবেদ আলী ও আব্দুল হাই (মৃত) নামে দুই আসামি গ্রেপ্তারের পর তখনকার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট তপন চন্দ্র বণিকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। কিন্তু বাদীপক্ষ বিভিন্ন সময় মামলাটি হাইকোর্টে আবেদন করে বিচারকাজ স্থগিত রাখলে দীর্ঘদিন পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণাকালে বাদী সাহিনা চৌধুরী উপস্থিত না থাকলেও আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সালেহ আহমদ ও অ্যাডভোকেট আবু বক্কর ছিদ্দিকী বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। দুজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ও ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামিরা খালাস পাওয়ায় তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাডভোকেট সুফি মিয়া এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই আদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার এজাহারে কোনো আসামি না থাকলেও হয়রানিমূলকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের আদালতে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে।#
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ সাঈদুর রহমান রিমন। প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার। বার্তা- সম্পাদক জুয়েল খন্দকার। প্রধান কার্যালয়ঃ- ৩৮/১ আরামবাগ.(মতিঝিল) ঢাকা-১০০০। ইমেলঃ- bdccrimebarta@gmail.com, মোবাঃ ০১৭৩২৩৭৯৯৮২
ইপেপার