• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১০ অপরাহ্ন

প্রথম প্রেমিকা কে রেখে আরেক জনকে নিয়ে উধাও প্রেমিক

সংবাদদাতা / ১৯১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২

সঞ্জয় দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: প্রথম প্রেমিকা গত পাঁচদিন বাড়িতে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আরেক প্রেমিকাকে বিনিয়ে উধাও প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা বাবুপাড়া গ্রামে।

নিপন রায় বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা বাবুপাড়ার ভূপেশ রায়ের ছেলে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র ছাত্র। প্রথম প্রেমিকা আঁখি অধিকারী নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ও সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউানয়নের খলিশাপচা মাস্টার পাড়ার মহেন অধিকারীর মেয়ে। দ্বিতীয় প্রেমিকা মৌমিতা বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা এলাকার শিক্ষক মদন মোহন অধিকারীর মেয়ে।

প্রথম প্রেমিকা আঁখি অধিকারী বলেন, নিপনের সঙ্গে আমার ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। নিপনের মামা কনকের মাধ্যমে নীলফামারী কলেজে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি আমারা ঢাকার লোকনাথ মন্দিরে বিয়ে করি। বিয়ের সময় নিপনের বান্ধবী ও তার স্বামী উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর নিপনের এক বান্ধবীর বাসায় আমরা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে এক সপ্তাহ অবস্থান করি।

তিনি আরো বলেন, এরপর বিভিন্ন জায়গায় আমরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিযাপন করি। বিয়ের বিষয়টি চাকরি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে গোপন রাখতে বলেছিলেন নিপন। কিন্তু কিছুদিন থেকে নিপন আমার সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ রাখছেন না। তাই তাকে ফোন দিয়েই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি তার বাড়িতে চলে আসি। এখানে এসে নিপনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ির লোকজন আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেও আমার ফোনটি তারা রেখে দেয়।

আঁখি বলেন, নিপনের পরিবার চাচ্ছে আমি এখান থেকে চলে যাই। তারা আমার পরিবারকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছে। তবে আমার পরিবার তাতে সম্মত নয়। শুনেছি নিপন নাকি আরেক প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন। আঁখির পরিবারের লোকজন জানান, নিপন প্রাইমারি নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এখন সে আমাদের মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

দ্বিতীয় প্রেমিকার বাবা মদন মোহন অধিকারীর কাছে তার মেয়ের বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, শনিবার আমার মেয়ের সঙ্গে নিপনের বিয়ে হয়েছে। তারা রংপুরে বিয়ে করেছে। কিন্তু বিয়েতে আমি উপস্থিত ছিলাম না।

নিপন রায়ের বাবা ভূপেশ চন্দ্র রায় বলেন, মেয়েটি গত পাঁচদিন ধরে আমার বাড়িতে আছে। মেয়েটি বলছে সে নাকি আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমার ছেলে বাড়িতে আসুক তার মুখে শুনে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে মদন মোহন অধিকারীর মেয়েকে বিয়ে করেছে কিনা তা আমি জানি না।

বোড়াগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর অবস্থান করার কথা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা চলছে।ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...