• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

ইউএনও’ র বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ

Reporter Name / ১১০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এমন মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় বারহাট্টা উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই তিনি নিজের ইচ্ছামতই কাজ করে চলেছেন কেউ কিছু বলতে গেলে বিভিন্ন মামলা হামলার হুমকি দেন বলে বেশ কয়েকজন জানান।

বিশেষ সূত্রে জানা যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজারুল ইসলাম বারহাট্টা উপজেলায় যোগদানের আগে তিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন সেখানে তিনি ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সাথে অসারুপ আচরণ করায় তাৎক্ষণিক সেখান থেকে তাকে বারহাট্টা উপজেলায় বদলি করা হয়। এখানে যোগদান করে তিনি তার নিজস্ব মতামতে বিভিন্ন কাজকর্ম করে চলেছেন বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা উপজেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা।

অভিযোগকারীরা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলাম বারহাট্টা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের আওতায় পরিষদের সিদ্ধান্ত থাকা স্বত্বেও জনস্বার্থে কোন উন্নয়নমূলক কার্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেনি। বরং বিভিন্ন জটিলতা তৈরী করে উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ নির্দেশিকা না মেনে নিজের ইচ্ছেমত নিম্নমানের বাসগৃহ নির্মাণ ও অর্থ আত্মসাৎ করেন।

আরো জানায় রায়, প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে বিভিন্ন অংকের অর্থ আর্থসাথের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে। আরো জানা গেছে,সাহতা ইউনিয়নের বড়গাওয়া গ্রামের গুচ্ছ গ্রামে টাকার বিনিময়ে যাদের জায়গা আছে তাদেরকে গৃহ দিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে ও তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রতন বর্মন, রেখা বর্মন, সহ আরও কয়েকজন এই গৃহ পেয়েছেন বলে জানা যায়।আরো জানা যায় এই ইউএনও এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন কাজের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করা।এই ইউএনও যেসব কাজের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে সেসব কাজের বেশির ভাগেই ভুয়া।

অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন কাজের নাম করে উপজেলা রাজস্ব ফান্ড থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার।অভিযোগকারীরা আরও বলেন, ২০২০-২১ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে হাট- বাজার থেকে প্রাপ্ত ইজারালব্ধ আয় ও ব্যয়ের হিসাব উপজেলা পরিষদের সভায় অদ্যাবদি উপস্থাপন করেননি। তিনি আইন, বিধিমালা ও নীতিমালার কোনো তোয়াক্কাই করেন না। তিনি হাট- বাজার সমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং তা হতে প্রাপ্ত আয় বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালা অনুসরণ না করে বিভিন্ন অস্থায়ী পশুরহাটের অনুমোদন দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন। বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের নৈহাটি বাজারের বিষয় নিয়েও রয়েছে জনসাধারণের দ্বিমত সকলেই একই কথা বলছেন যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখান থেকেও অর্থ আত্মসাৎ করছেন বলেও তারা জানান।

আরো জানা যায় যাদের জমি আছে এবং ঘরও আছে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ইউএনও তাদের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে ঘর করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর যাদের টাকা নেই জায়গাও নেই তারা টাকা দিতে না পারায় ইউএনও তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহ থেকে বঞ্চিত করে। বারহাট্টা উপজেলায় যোগদান করেই তিনি শুরু করেছেন দুর্নীতি ও অনিয়মের মহা উৎসব। তার এই উৎসবের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেন দেখার কেউ নেই তিনি একাই রাজা একাই সম্রাট।

এছাড়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের আওতায় বিশেষ বরাদ্দের টিআর, কাবিখা ও অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালনেও অবহেলা করেছেন। দাযিত্ব পালনের অবহেলা করায় ২০২১-২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজের টাকার হদিস নেই বলেন অভিযোগকারীরা।

এছাড়াও বারহাট্টা উপজেলার ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ১২ থেকে ১৫ ভাগ ঘুষ না দিলে ঠিকাদারি কাজের বিল ইউএনও আটকে রাখেন এবং উল্লেখিত ঘুষের টাকা পরিশোধের পর ঠিকাদারি বিল পরিশোধ করেন। জামালপুর জেলার ইসলামপুর থাকাকালীন সময়ে তিনি সাধারণ জনগণ ও বিশেষ করে সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে অশত আচরণ করেন।

সেখানেও তিনি দুর্নীতির মহা উৎসব শুরু করেছিলেন কিন্তু অল্প কিছুদিনের ভিতরেই তার টের পেয়ে যান সেখানকার স্থানীয় এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।তৎক্ষণিক তাকে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে বারহাট্টা উপজেলায় বদলি করা হয় এবং তত্কালীন বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদকে ইসলামপুরে বদলি করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলামের বিভিন্ন অনৈতিক ও দুর্নীতির বিস্তারিত বিবরণ দেন বেশ কয়েকজন।উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা কর্মী জানান এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন কাজেই উপজেলা আওয়ামী লীগকে সম্পৃক্ত করতে চান না তিনি একা একাই সব কাজের সমাধান দিতে চান সবসময় এবং দিয়ে আসছেন। আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি তারা ওনার কাছে কিছুই না।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।কারন তিনি এই প্রতিনিধির নাম্বারটি ব্যাক লিস্ট করে রেখেছেন।এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস এই সাংবাদিককে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category