• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

ঋণের প্রয়োজন নেই, সেই বক্তব্য ছিল ‘কৌশল’: অর্থমন্ত্রী

Reporter Name / ১৬৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘অর্থের প্রয়োজনে আমরা সব জায়গায় যাব। বিশ্বব্যাংকে যাব, জাইকায় যাব। তবে আমরা সব সময় চেষ্টা করি, ভালো সুদে ও ভালো শর্তে ঋণ নিতে। এবার ঋণ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ)।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের ঋণ দরকার আছে। ডলার অর্জন করতে হবে। কিন্তু এরমানে এই নয়, দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে।’ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে তার বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার চাহিদা প্রকাশ করতে চাইনি। আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আগের বক্তব্য দিয়েছি।

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন নেই এবং ঋণ দাতা সংস্থার কাছে কোনো তহবিল চাইবে না। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ঋণ সহায়তা চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। গত সপ্তাহের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার চাহিদা প্রকাশ করলে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হতো। এটি আমার কৌশলগত বক্তব্য ছিল। এটি এক ধরনের দরকষাকষি। প্রত্যেকেই এটি করতে হবে।

‘আইএমএফের একটি দল এসেছিল, প্রতি বছরই আসে। দলটি ছিল তখনো। সে সময় যদি বলি, আমাদের অর্থের দরকার, তখন তারা অর্থ দিলেও সুদহার বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রাহক (বায়ার) হিসেবে আমরা খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা ভাব দেখাই আমাদের অর্থের দরকার নেই। এটাই হলো মূল কথা।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থ চাই এটি আমি বলেছি। কত টাকা প্রয়োজন আইএমএফকে এখনো বলা হয়নি। দেখব তারা কী শর্ত দিতে যাচ্ছে। শর্ত দেখেই বিবেচনা করব। অবশ্য সরকার এটি মাথায় রাখবে ঋণের আওতায় দেওয়া শর্তগুলো যেন দেশের স্বার্থের পরিপন্থী না হয়। তিনি আরও বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানে এবং বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা সম্পর্কেও ধারণা আছে। কিছুদিন পর ঋণ থাকবে না, বাংলাদেশ আবার ঋণ দিতে পারবে।

বাজারে ডলার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। অনেকে কিছু অব্যবস্থাপনা করছে। বেশি মূল্য দেখিয়ে এলসি খুলছে। বাধা দিলে এক ব্যাংক থেকে নিয়ে অন্য ব্যাংক খুলছে। বাজারে ডলার নিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিতে কেউ বা কোনো মহল জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপেক্ষা করেন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।#

Please Share This Post In Your Social Media


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category