পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ– রাবনাবাদ নদীর ভাঙ্গনে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের হোগল বুনিয়া, আটখালী ও ডাকুয়া গ্রাম ভাঙ্গন রোধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ডাকুয়া বেড়িবাধের উপর শত শত লোক এ মানবনন্ধনে অংশ নেয়। এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র- ছাত্রী ও স্থনীয় জনসাধারণ। এই রামনাবাদ নদীর ভয়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়া গ্রামের অনুমানিক ৫ শত একরের চেয়েও বেশি জমি ভিটেমাটি সহ।
বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে, ১৯৭২- ৭৩ সালের পুরানো তেতুলতলা বাজার, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯৪৪ সালের আটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ শত ৬০ বছরের পুরানো জমিদার বাড়ী। আরো রয়েছে ৩ টি মসজিদ, একটি কমিউনিটি সেন্টার ,জৈনপুরি খানকা, মন্দির সহ বাজারে রয়েছে শতাধিক দোকান ঘর। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি মোঃ আলতাফ মাহমুদ তার সমাহিত কবর থেকে মাত্র ১০ ফুট দুরে রাবনাবাদ নদী। যে কোন সময় কবরটি বিলীন হতে পারে।
আটখালী গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৮৭) বলেন, বাবা এই নদীতে আমাগো ভিঠামাঠি লইয়া ২৫ একর জমি গ্যাছে। একই ভাবে এলাকার অনেক বৃদ্ধ লোকের কাছ জানা গেছে ,জমি জমা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে চলে গেছে এমনকি অনেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন মালামালসহ বেড়িবাধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে যারা আছেন তারাও আবার দূর্বিহ সহ জীবন কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গলাচিপা ডাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর দিন খেয়ে না খেয়ে আমি সহ ইউপি সদস্যগন ও এলাকার জনগন নিয়ে বেড়ি বাধটি রক্ষা করার জন্য জিও ব্যাগ, ইট, মাটি, বস্তাবর্তি বালূ বাশঁ দিয়ে কোনো রকম বাধটি রক্ষা করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে দূর্যোগ আসলে বাধটি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তা হলে আমার ইউনিয়ন সহ চার টি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন যাতে দ্রুত বাধটির ব্যাপারে স্থায়ী একটা সমাধান দেন।#