অনলাইন ডেস্কঃ- আর মাত্র ৫ দিন বাকি, অতঃপর বেজে উঠবে দামামা, শুরু হবে লড়াই। মরুর দেশ কাতারে শুরু হবে ৩২ দেশের ফুটবল মহারণ। ৮ টি রণাঙ্গনে হবে এই লড়াই। বিশ্বকাপের আগে শেষ ৮ দিনে জেনে নেব সেই আটটি রণাঙ্গনের সম্পর্কে। যেখানে আজ থাকছে ‘আল থুমামা স্টেডিয়াম।’কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে আল থুমামা শহরেই অবস্থান এই স্টেডিয়ামটির। শহরের নামের সাথে মিল রেখে একে আল থুমামা স্টেডিয়াম নামেই ডাকা হয়। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতার যে ৮ টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে তারমধ্যে অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত স্টেডিয়াম এটি। আরব অঞ্চলের মুসলমানদের সংস্কৃতি এবং কাতারের ঐতিহ্যের মিশেলে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়ামটি। দূর থেকে পাখির চোখে দেখলে মনে হবে বোধহয় কোনো টুপি পড়ে আছে মাটিতে। আসলে এটি মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী সাদা রংয়ের টুপি ‘গাহফিয়া’র আদলে তৈরি। গাহফিয়া মধ্যপ্রাচ্যের একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী টুপি। এই টুপি পরিধানের মধ্যে দিয়েই সেই অঞ্চলের তরুণ এবং যুবকদের আত্মসম্মান এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। পুরো স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে অজস্র গাছ রোপণ করায় স্টেডিয়ামটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে আরো কয়েকগুণ। পুরো স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে ৫০ হাজার বর্গমিটারের বিশাল সবুজ পার্ক দর্শকদের এক আলাদা জগতে নিয়ে যাবে। এছাড়া স্টেডিয়ামটি নির্মাণেও সব পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করায় স্টেডিয়ামটিকে গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট থেকে ফোর স্টার সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে।ন৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় ২০১৭ সালে। আর ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর আল সাদ বনাম আল রায়ানের মধ্যকার আমির কাপের ফাইনাল দিয়ে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের আরব কাপের ৬ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই স্টেডিয়ামটিতে। বিশ্বকাপ শেষে বাকি স্টেডিয়ামগুলোর মতো এটারও ধারণক্ষমতা কমিয়ে ২০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। সেই স্থানে নির্মাণ করা হবে বুটিক হোটেল, স্পোর্টস ক্লিনিকসহ প্রয়োজনীয় সব স্থাপনা। আর বাকি আসনগুলো দান করা হবে স্বল্পোন্নত এবং অনুন্নত দেশ গুলোর ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে। হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছেই আল থুমামা স্টেডিয়ামটির অবস্থান। তাই দর্শকরা খুব সহজেই স্টেডিয়ামে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া ম্যাচ চলাকালীন দোহা মেট্রো স্টেশন এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ফিফার এসি বাস সার্ভিস চলাচল করবে যাতে দর্শকেরা খুব সহজেই প্রিয় দলের ম্যাচ উপভোগের জন্য স্টেডিয়ামটিতে আসতে পারেন। কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচসহ বিশ্বকাপের মোট ৮ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামটিতে।#