জুয়েল খন্দকার নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- স্বামী জীম্মির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রস্তাবিত আওয়ামী লীগের কমিটির নেত্রী সেতু রহমান ও পালা গানের শিল্পী শিলা মল্লিকের বিরুদ্ধে, শুধু তাই নয় দু’ জনের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা সহ নানান অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, মুগদা থানাধীন ৬ নং ওয়ার্ডে নাজমা আক্তার শিমু নামের এক নারীর স্বামী সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন কে জিম্মী করে রেখেছেন প্রায় পাঁচ মাস যাবত।
নাজমা আক্তার শিমুর স্বামী একজন গার্মেন্টস কর্মী, পালা গানের শিল্পী শিলা মল্লিককে তার স্বামীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ২৫/০৩/২০২২ ইং তারিখে বিয়ে করেন আবার ৩১/০২/২০২২ তারিখে সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন তালাক দেন। যখন তালাক নোটিশ পাঠায় সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন তখন সেতুর দলের কিছু গুন্ডা বাহিনীদের কে দিয়ে সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন অফিস চলাকালিন জোড় পূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলেন যে তালাক নোটিশ উঠিয়ে না নিলে সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও দেন গুন্ডা বাহিনীর প্রধান সাগর।
সুজন বাসায় এসে আবার একটি লিখিত নোটিশ পাঠায় তার তালাক দ্রুত কার্যকর করার জন্যে ও তার পরিবারের কাছে একটি লিখিত দিয়ে রাখেন তাহার কিছু হলে সেতু রহমান, সাগর ও শিলা মল্লিক দায়ী থাকবে বলে সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজনের পরিবার জানান। অতঃপর ৩১/০১/২০২২ তারিখে তালাক কার্যকর হয়ে যায় সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন ও শিলা মল্লিকের মধ্যে। তালাক কার্যকর হওয়াতে সেতু রহমান আরো হিংসুটে হয়ে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বাসায় উঠিয়ে নিয়ে আসেন শিলা মল্লিকের সাথে সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজনের একটি রুম রেখেছেন।
শিলা মল্লিক পালা গানের আড়ালে একজন কে স্বামী হিসেবে পুজি করে রমরমা দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তবে নাজমা আক্তার শিমু তার স্বামী কে উদ্ধার করার জন্যে মুগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার জিডি নং ৯৪৮। ১৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে অভিযোগ এর ভিত্তিতে মুগদা থানার এসআই শামীম সেতু রহমানের বাসায় অভিযান চালায়।
অভিযান করতে গিয়ে নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন এসআই শামীম তিনি বিডিসি ক্রাইম বার্তাকে জানান যে সেতু রহমান তার বাসায় কুকুর বিড়ালে ভরা চাইলেই যে কেহ প্রবেশ করতে পারবে না, এমনকি আমাদের কে ও কুকুর বিড়ালের ভয় দেখিয়ে এক ঘন্টা বাসার সামনে দাড় করিয়ে রেখে নাজমা আক্তার শিমুর স্বামী সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন কে বাসার ছাদের পিছন দিয়ে বের করে দেওয়া হয় যা আমরা পরে জানতে পারি।
তখন শিলা মল্লিক তিন মাসের অন্তসত্বা বলে দাবী করেন, অথচ ৯ মাসের মাথায় গত ০৬/০৮/২০২২ ইং তারিখে ও তিনি নোয়াখালীতে পালা গানের প্রোগ্রাম করে আসেন। একজন গর্ভবতী নারীর কি কেলমা। নাজমা জানান যে আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রশাসন সাথে থাকা স্বত্তেও শিলা মল্লিক ও সেতু রহমান আমার উপরে চড়াও হয়ে যায়; শুধু তাই নয় সেতু রহমান কে লালবাগে কোন পুলিশ কিংবা কোন প্রশাসন কেহ কিছুই করতে পারবে না বলে হুমকি দেন।
নাজমা আক্তার শিমু তার স্বামী কে উদ্ধার করার জন্যে ঢাকার জর্জ কোর্টে আবেদন করলে কোর্ট তার স্বামী সুজাউদ্দিন আহম্মেদ সুজন কে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করার বিষয়ে লালবাগ থানাকে একটি সার্চ ওয়ারেন্ট প্রেরণ করেন। গত ০৭/০৮/২০২২ ইং তারিখে বেলা তিনটার দিকে লালবাগ থানার তদন্ত অফিসার শাহ্ আলমের নেতৃত্বে একটি টিম সেতুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন, সাথে ছিলো মিডিয়াও। সেতুর বাসায় গিয়ে ৩০ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রশাসন কে।
৩০ মিনিট পরে সেতুর বাসায় ভাড়াটিয়ারা গেইট খুলেন ও ভাড়াটিয়ারা সেতুর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেন, গেইট খোলার কথা সেতু জানতে পারলে ভাড়াটিয়াদের মারধর করবেন বলেও এবং তার বাসার পালা কুকুর লেলিয়ে দেন বলেও অভিযোগ করেন ভাড়াটিয়ারা। অভিযানে সেতু রহমানের বাসা তল্লাশি করে নাজমার স্বামী কে পাওয়া যায়নি, পাওয়া যায়নি সেতু রহমান কেও। তবে শিলা মল্লিক কে প্রশ্ন করলে পালা গায়িকা শিলা মল্লিক মিডিয়ার লোকদের উপরে চড়াও হয়ে পাল্টা ভিডিও করা শুরু করেন ও হুমকিধমকি দিতে থাকেন এই বলে যে, তার অনেক উপরের লেবেলে হাত আছে ,কেহ বাচতে পারবে না।
শুধু তাই নয় সেতু রহমানের বড় বোনও সাংবাদিক ও পুলিশদের হুমকি দিয়ে বলেন আপনারা জানেন এটা কার বাসা কোথায় এসেছেন এখান থেকে একজনও ফিরে যেতে পারবেন না। তখন সে চিল্লাচিল্লি করতে করতে নিচে গিয়ে গেইট লাগিয়ে উপরে এসে বলেন যে কেহ বাহির হতে পারবেন না। সেতু রহমানের বাসা সার্চ করে বাহির হওয়ার পথে রাস্তায় সেতু রহমানের সাথে দেখা হলে প্রশাসন ও মিডিয়ার সামনে নাজমা আক্তার শিমু কে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তখন আশেপাশের লোকজন (নাম প্রকাশে অনচ্ছুক) একাধিক লোক জানান যে সেতু রহমান নিজেও দেহ ব্যবসা করেন ও অন্যকে দিয়ে করান, তার বাসায় কোন পুরুষ লোক থাকেনা। সেতুর চারটি বিয়ে হয়েছে, প্রথম স্বামী মজিবুর সে লন্ডন থেকে ফিরেছেন তার বাড়িসহ সমস্ত টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দেওয়া হয়।
দোহারে মজিবুর এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ২য় স্বামী রাজনীতিবিদ তিলক তাকে দিয়ে রাজনীতির মাটগে নেমে তাকেও ছেড়ে দেন, ৩য় স্বামী রায়হান, ৪র্থ স্বামী কেও সব কিছু হাতিয়ে ছেড়ে দেন এই ভয়াবহ নারী সেতু রহমান।#