নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসী আতিক হাসান (৩০) দেশে এসে পরিবারের সম্মতিতে এক মাস আগে বিয়ে করেন। কিন্তু কে জানত বিদেশে থাকা অবস্থায়ই প্রেমিকাকে কথা দিয়েছিলেন দেশে এসে বিয়ে করার। আর এই টানেই নতুন বউকে ঘরে রেখে গভীর রাতে প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান নেন।
কোনোভাবেই প্রেমিকার বাড়ি থেকে যেতে না চাইলে এলাকার লোকজনের সিদ্ধান্তে আতিক হাসানকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকার সঙ্গে আর সম্পর্ক নয় মর্মে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, প্রবাসী আতিক হাসান হচ্ছেন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কপালহর গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে। প্রায় আট বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। গত জুন মাসের শেষ দিকে দেশে আসেন। পরে কোরবানি ঈদের কিছুদিন আগে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করানো হয় পাশের নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে।
ওই নববধূর এক স্বজন জানান, কয়েক দিন ধরেই আতিক স্ত্রীকে বলছিলেন এই বিয়ে তার সম্মতিতে হয়নি। এ নিয়ে নববধূর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ফিরে আসেননি। পরে খবর পাওয়া যায়, আতিক হাসান পাশের তসরা গ্রামে প্রেমিকার বাড়িতে আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে সেখানে যান নববধূ। পরে অনেক চেষ্টা করেও তাকে (স্বামী) ফেরাতে না পেরে ক্ষুব্ধ নববধূ ফিরে আসেন। একপর্যায়ে আতিকের পরিবারের লোকজন বেকায়দায় পড়ে পুলিশকে জানালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল কালাম জানান, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আতিক আর কখনো প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না মর্মে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পায়।#