সঞ্জয় দাস, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ‘বাড়ির সামনের এই জায়গাটুকু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো, ময়লা ফেলতাম। গরু ছাগল বেঁধে রাখতাম, প্রসাব পায়খানা করতো। দুর্গন্ধ হতো। এখন এই জায়গাটুকুতে অনেক ধরণের শাক সবজি হচ্ছে’। বুদ্ধি পরামর্শ নিয়ে নিজের আঙ্গিনায় শাক সবজি উৎপাদন করতে পারছি। আমার বাগান থেকেই টাটকা সবজি সংগ্রহ করে খেতে পারছি।’ এই বাগান হয়ে অনেক ভালো হয়েছে।
বলছিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রক্ষোত্তর কুতুপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী নার্গিস আক্তার। তিনি বলেন, দেড় শতাংশ জায়গা এখন আমার কাছে অনেক বেশি সম্পদ মনে হচ্ছে। লাউ, বেগুন, শিম, বরবটি, পেঁটে, ঝিংগা, চিচিংগা, করলাম, কায়তা, পাটশাক, লালশাক, সবুজশাক প্রভৃতি আবাদ করছি।
ওই এলাকার বাসিন্দা পোষাক কারখানার শ্রমিক খাদিজাতুল জান্নাত বলেন, আমিও পারিবারিক পুষ্টি বাগান করার জন্য যোগাযোগ করছি কৃষি কর্মকর্তার সাথে। সামনের দিনে আমিও করবো। এর অনেক উপকারীতা দেখছি চোখের সামনে। তিনি বলেন, এলাকার রাস্তা দিয়ে হাঁটলে এখন আর প্রসাব, পায়খানা কিংবা নোংরা আবর্জনা চোখে পড়ে না। চোখে পড়বে লাউ, শিম, বরবটি, পেঁপে, বেগুন প্রভৃতির সবুজ দৃশ্য।#