• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ, “লাখো নেতাকর্মীর উপচে পড়া ভীর

সংবাদদাতা / ১৩৮ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মেহাম্মদ সাইদঃ- রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বিএনপি। রাজধানীর পল্লবীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করছে দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা- কর্মী অংশ নিচ্ছেন।

রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করেন। (রোববার) বিকেল ৩ টার পর এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।

বিএনপির সমাবেশের কারণে আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা গেছে। নয়াপল্টনে সড়ক বন্ধ রয়েছে। পল্টন থেকে কাকরাইলগামী সড়কে গাড়ির তীব্র জট লেগে গেছে। আশপাশের সড়কে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বেগ পেতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা থেকে ফকিরাপুল এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, ঢাকা মহানগর উওরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান তিনি তার বক্তব্য বলেন, শনিবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে ঢাকা ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। এতে তিনি নিজে ও তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাত পৌনে আটটার দিকে রাজধানীর বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য তাবিথ আউয়াল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামা ওবায়েদ সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

উভয় স্থানেই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। তাবিথ আউয়ালকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ও বরকত -উল্লাহ বুলু এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে মারামারির জন্য প্রস্তুত নই। আমরা মারামারি করতে চাই না। আমরা চেয়েছিলাম প্রতিবাদের মাধ্যমে জনগণের দাবিদাওয়া আদায় করতে। কিন্তু আমাদের গায়ে সরাসরি হাত তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গুলি করে আমাদের তিন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। মোমবাতি জ্বালানোর কর্মসূচিও সরকারের সহ্য হচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না দাবি করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বলেই দিলেন, রাজনৈতিক সভা- সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না, মারপিট করা হবে না। আপনি বলার পর তিনটা ছেলে মারা গেল। আপনি বলার পর দেশে প্রতিটি মিছিল- মিটিংয়ে হামলা করা হলো। এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে। অর্থাৎ আপনি যা বলেন, তা করেন না। আর যা করেন, তা বলেন না। আপনার ওপর এ দেশের মানুষ বহু আগেই আস্থা হারিয়েছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের ওপর হামলা না করার ধর্মীয় বিধান থাকলেও এই সরকার বাছবিচার করছে না বলে অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধর্মে একটা কথা আছে, যুদ্ধক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের ওপর আঘাত করা যাবে না। আপনারা (আওয়ামী লীগ) নারী–শিশু কিছুই ছাড়ছেন না এখন। ১৮ বছরের একটা ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছেন। আপনাদের অত্যাচার এখন সীমাহীন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন।

সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও তার আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় প্রিজন ভ্যান, এপিসি ও জলকামান রাখা হয়েছে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...