• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে নারী বেশি

সংবাদদাতা / ১৯৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। দেশে জনশুমারি শুরুর পর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো এমন তথ্য পাওয়া গেল। সর্বশেষ জনশুমারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। এর মানে হলো প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯ জন। অন্যদিকে দেশে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটেছে এবং তাও একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে।

২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের উত্তর-পূর্বের জেলায় বন্যার কারণে এটি ২৮ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মুসলমান ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় কমিউনিটির জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া এ প্রতিবেদন অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ মুসলিম। হিন্দু জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা ২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এছাড়া বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ যা ২০১১ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে এক দশমিক ৩৭ শতাংশ ছিল। এছাড়া জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১১৯ জন, যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬।স্বাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে, যা গত জনশুমারিতে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর বয়স পাঁচ বছরের বেশি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারীকারী মোট জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

দেশে বর্তমানে মোট রেস্তোরাঁর সংখ্যা চার কোটি ১০ লাখ যা গত জনশুমারিতে ছিল তিন কোটি ২১ লাখ। চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সংখ্যা বর্তমানে চার কোটি ১০ লাখ।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...