• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নিঃস্বার্থ সামাজিক সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মাদক বিরোধী সভা শেরপুরে হাসপাতালের সেই তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্যের ভাতিজা ইয়াবাসহ আটক আওয়ামীপন্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় ময়মনসিংহের ওসি সফিকুল ইসলাম ভাড়া বাড়িতে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যুবদল নেতা হত্যা মামলায় পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী কারাগারে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে হচ্ছে কমিটি, আন্দোলন স্থগিত

বিএনপি নেতাকে রগ কেটে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান

সংবাদদাতা / ১৭৭ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

বিডিসি ক্রাইম বার্তা ডেস্কঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোঃ জাকির হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে একই বংশের দুই ভাই মোঃ সেলিম ও রিয়াজুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে জকির এগিয়ে এলে ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল, তার ২ ভাই, ২ ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনাসহ প্রায় ১৫/২০ জন মিলে মোঃ জাকির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে তার হাতের রগ কেটে দেয় বলে অভিযোগ করেন জাকিরের স্ত্রী শিউলী হোসেন।

মারধরের ফলে জাকিরের কপালে ৪/৫ টি সেলাই এবং হাতে ২৭ টি সেলাই হয়েছে বলে জানিয়েছে তার ছেলে শাফিন আহমেদ। তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রামদা নিয়ে তাকে মারতে আসলে এলাকাবাসী তাকে পিটনি দেয়। সে নিজেই তার সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে তার হাত কেটেছে বলেও জানান তিনি। তবে নাসিম নামে এক ব্যাক্তি জানিয়েছে টিনে লেগে তার হাত কেটে গেছে।

জাকির হোসেনের মেয়ে জুবাইদা জানান, তার বাবা ঔষধ আনতে গিয়ে দেখে সেলিম ও রিয়াজুলের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এসময় সেলিম তার বাবার কাছে বিচার দিলে সে বলে পরে দেখা যাবে। এই কথা শুনে রিয়াজুল ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান, তার ২ ছেলে, ২ ভাই, ভাতিজাসহ প্রায় ২০/৩০ জন মিলে আমার বাবাকে মারধর করে। মারধরে আমার বাবার কপাল কেটে যায়, চোখ দিয়ে রক্ত বেড় হয় এবং হাতের রগ কেটে যায়।

মার খেয়ে আমার বাবা দৌড়ে বাড়ি চলে আসলে আমরা যখন আমার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত ঠিক সে সময় চেয়ারম্যান পুলিশ নিয়ে এসে বাবার কালারে ধরে মারতে মারতে টেনে হেছড়ে নিয়ে যায়। আমার বাবার কোন দোষ ছিলনা, আমার বাবা বিএনপি করে বলেই এই হামলা। আমরা হয়তো দুনিয়ায় বিচার পাবোনা। আল্লাহু কাছে বিচার দিচ্ছি। মানুষ কি করে একজন রক্তাক্ত মানুষ কালারে ধরে টেনে হাঁছড়ে নিয়ে পুলিশে দেয়?

জাকিরের ছেলে শাফিন জানান, তার বাবাকে মেরে কোন মামলা ছাড়াই পুলিশে দিয়েছে। তারা আমার বাবাকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার বাবার চোখের কাছে ৪/৫ টি এবং হাতে ২৭ টি সেলাই পড়েছে। এখন সে পুলিশ পাহারায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুনুর রশীদ জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিলো জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালকে দা নিয়ে মারতে আসলে তার সাথে থাকা দা দিয়েই তার হাত কেটে গেছে।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জাকির হোসেনকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...