প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। সারাদেশে রেল যোগাযোগ উন্নত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
রোববার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি-টু-ঢাকা রুটে দিবাকালীন নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ উদ্বোধনের আগে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পর হলেও অবশেষে নীলফামারীর চিলাহাটি-টু-ঢাকা রুটে দিবাকালীন নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ চালু হলো।
জানা গেছে, নীলফামারীর সীমান্তবর্তী রেলস্টেশন চিলাহাটি-ঢাকা রুটে দিবাকালীন নতুন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ মে একটি চিঠি রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ওই প্রজ্ঞাপনমতে, আন্তঃনগর ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে। আবার বিকেল সোয়া ৪টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় চিলাহাটি পৌঁছবে। আর এ ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ, শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়দিন ট্রেনটি এ রুটে চলাচল করবে।
জানা গেছে, নতুন আমদানি করা চাইনিজ কোচের মাধ্যমে পরিচারিত ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি উভয় পথে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস ও বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
এর আগে ২০০৭ সালে সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন পর্যন্ত রাত্রিকালীন আন্তঃনগর ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু করা হয়। এরপর রেলপথ সংস্কার তথা ডুয়েল গেজ করার পর ট্রেনটির গন্তব্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পর্যন্ত করা হয়। পরে উত্তরবঙ্গের একাধিক রুটে একাধিক আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হলেও ঢাকা-চিলাহাটি রুটে একটি মাত্র ট্রেন ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ চালু ছিলো