বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ থেকেঃ আসাদুজ্জামান পুলিশ সুপার ঢাকা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা জেলা পুলিশ কর্তৃক মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল এর ব্যাপারে বিশেষ অভিযান এর ঘোষণা দিলে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ শুরু থেকে শাহাবু্দ্দিন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল এর নেতৃত্বে ও অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের সার্বিক সহযোগীতায় এসআই (নিঃ) অলক কুমার দেব ও এসআই (নিঃ) রিয়াজ মাহমুদ এবং এএসআই (নিঃ) আল- আমিন খন্দকার এর সমন্বয়ে একটি চৌকস আভিযানিক দল বড় আকারের মাদক উদ্ধারের লক্ষে কাজ শুরু করে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ আগষ্ট তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে যে, কুমিল্লার বুড়িচং থেকে কাভার্ড ভ্যানযোগে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার হতে কদমতলীগামী বন্দডাকপাড়া হাইওয়ে রোডের সামনে মাদকসহ অবস্থান করছে। উক্ত মাদক উদ্ধারের লক্ষ্যে জনাব শাহাবু্দ্দিন কবীর, বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ এর উপস্থিতিতে এসআই (নিঃ) অলক কুমার দেব ঘটনাস্থলে হাজির হলে আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশ মোঃ লিটন (২৬), মোঃ আলমাস মাতাব্বর (২৪), মোঃ শাহাজালাল (২৫)-কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং কৌশলে পালিয়ে যায় আর ও তিনজন।
উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাদের পাশে রাখা কাভার্ড ভ্যান এর ভিতরে ৩ বস্তায় সর্বমোট ৭২ কেজি গাঁজা আছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ঘটনাস্থলের আশেপাশে শতাধিক লোক জড়ো হয়ে যায়। তাদের উপস্থিতিতে কাভার্ড ভ্যান এর পিছনের দরজা খুললে ভিতরের অংশে ৩ টি প্লাস্টিকের বস্তায় প্রতি বস্তা ১২ টি করিয়া সর্বমোট ৩৬ টি গাঁজার প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রতিটি প্যাকেট নীল রংয়ের পলিথিন এর উপর খাকি রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো।
প্রতি প্যাকেটের ওজন ০২ কেজি করে সর্বমোট ৭২ কেজি গাঁজা পুলিশ জব্দ করে। প্রতি কেজি গাঁজার মূল্য অনুমান ৩০,০০০/- টাকা সর্বমোট ৭২x৩০,০০০= ২১,৬০,০০০/- (একুশ লক্ষ ষাট হাজার টাকা) ও মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যান যাহার রেজি নং- ১২-০৬৮০, মূল্য অনুমান ৮২,০০০০০/- (বিরাশি লক্ষ) টাকা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় এএসআই (নিঃ) আল- আমিন খন্দকার বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং- ৪৬, ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ (১) এর ১৯ (গ)/৩৮/৪০/৪১ রুজু করেন।
গেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। মূলত এরা কুমিল্লা থেকে মাদক এনে ঢাকা, কেরাণীগঞ্জ ও মাদারীপুর এর বিভিন্ন জায়গায় মাদকের বড় বড় চালান সরবারহ করে থাকে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো। মোঃ লিটন (২৬), পিতাঃ- নুরুল হক, মাতাঃ- জাহানারা বেগম, সাং- মাদবরচর খাড়াকান্দি, থানাঃ- শিবচর, জেলাঃ- মাদারীপুর। মোঃ আলমাস মাতুব্বর (২৪), পিতাঃ- মোঃ সেলিম মাতব্বর, মাতাঃ- বিলকিস বেগম, সাং- সারে এগাররশি, থানাঃ- শিবচর, জেলাঃ- মাদারীপুর। মোঃ শাহাজালাল (২৫), পিতাঃ- আব্দুর রব মুন্সী, সাং- মাদবচর খাড়াকান্দি, থানাঃ- শিবচর, জেলাঃ মাদারীপুর।
উদ্ধারঃ ১। ৭২ কেজি গাঁজা। যাহার মূল্য অনুমান ২১,৬০,০০০/- (একুশ লক্ষ যাট হাজার) টাকা।
২। একটি কাভার্ড ভ্যান, যাহার মূল্য অনুমান ৮২,০০,০০০/- (বিরাশি লক্ষ) টাকা।