বনি আমিন (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ২৩ জুন ট্রাংকের ভিতরে তোশকে মোড়ানো অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আল আমিন (২৫) নামের এক যুবক’কে আটক ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নিহত অজ্ঞাতনামা যুবকের নাম সুমন। পেশায় ট্রাক ড্রাইভার সুমন পটুয়াখালীর বাউফল থানার মৃত দেবেন্দ্র হাওলাদারের ছেলে।
৫ জুলাই শুক্রবার সকালে র্যাব-১০ মিডিয়া সেল থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি’তে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের পালপাড় বটতলা এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আরিফ ও বাবু নামের দুই আসামি’কে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত সুমন পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। সুমন গ্রেফতার আল আমিন, বাবু ও আরিফ চারজনে মিলে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ট্রাকে করে এনে কেরানীগঞ্জ সহ রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো।
মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তাই আলামিন বাবু ও আরিফ নিলে সুমন’কে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন’কে পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় এনে কেরানীগঞ্জে আল- আমিনের ভাড়া বাসায় নিয়ে তারা তিনজন মিলে রাত নয়টার দিকে সুমন’কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
হত্যার পর মরদেহ টি গুম করার জন্য তোশক দিয়ে মুড়িয়ে মরদেহ একটি ট্রাংকে ভরে ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে জাজিরা বোটঘাট ব্রিজের পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামি’কে সংশ্লিষ্ট থানা হস্তান্তর করা হয়েছে