বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ থেকেঃ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) অলক কুমার দে ও এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ রিয়াজ মাহমুদ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি কারকালীন সময় থানাধীন নুরন্ডী মোড়ে অবস্থান কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি চোরাই মোবাইল সহ অবস্থান করিতেছে।
উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল, জনাব মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর, বিপিএম ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন অর- রশিদ, পিপিএমকে অবহিত করে। জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, ঢাকা স্যারের দিক নির্দেশনায় তাহাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিলে ইং ১৯/০৫/২৩ তারিখ ২০.২৫ ঘটিকার সময় বর্ণিত অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে দুইজনকে একটি ব্যাগ সহ ধৃত করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে ব্যাগ তল্লাশি করিয়া সর্বমোট ২০ (বিশ) টি মোবাইল পাওয়া যায়, যাহার কোন কাগজপত্র নাই, তিনটি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর কাটা। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা বিভিন্ন এলাকা হইতে চোরদের মাধ্যমে চোরাই মোবাইল সংগ্রহ পূর্বক আইএমইআই নম্বর বিনষ্ট করিয়া বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রয় করে।
আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মোবাইল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা চোরাই মোবাইলগুলোকে অভিনব কায়দায় আইএমইআই নম্বর কেটে ফেলে, যার ফলে চোরাই মোবাইল এর প্রকৃত মালিক সনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সংক্রান্তে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং ৬৯, তারিখঃ ১৯ মে ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা ৪১৩ পেনাল কোড রুজু করা হইয়াছে। ধৃত আসামীদের পুলিশ ০৭ (সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরনের প্রক্রিয়া চলমান রহিয়াছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলোঃ– ১। উজ্জল চন্দ্র দাস @আব্দুল্লাহ আল মামুন@ নোমান (৪৩), পিতা- মৃত অনিল চন্দ্র দাস, মাতা- বিবারানী দাস, সাং- ডায়াপার, শুধাংশ মাস্টারের বাড়ী, থানা- তজিমউদ্দিন, জেলা- ভোলা, বর্তমান- চুনকুটিয়া হিজলতলা আক্তার মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা- ঢাকা, ২। মোঃ সাদিক হোসেন (২১), পিতা- মৃত হাজী আলেক মিয়া, মাতা- দীপা আক্তার, সাং-
চরওয়াসপুর, শ্যামলাপুর, থানা- কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা সর্বমোট বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ (বিশ) টি চোরাই মোবাইল সেট।উল্লেখ্য যে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এই চৌকস অভিযানিক টিম ইতিপূর্বে অনেক চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলা উদঘাটন ও বিপুল সংখ্যক মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তাদের এই কর্ম তৎপর, পেশাদারিত্বের জন্য কেরানীগঞ্জের সর্বমহলে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সুনাম সমৃদ্ধি ব্যাপিত হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে টিম কেরানীগঞ্জ, আর তথ্য প্রযুক্তিগত সর্বোচ্চ লেবেলের কাজে বরাবরই দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল মহোদয়।