লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ -লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন। দিন ব্যাপি সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড,মতিয়ার রহমান, জেলা আ: লীগের সহ-সভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, জেলা আঃ লীগের সিনিঃসহ-সভাপতি সিরাজুল হক, জেলা আ,লীগের যুগ্নঃসাধারন সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন সুমন খান, পৌর আ,লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল হক তপন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোরল হুমায়ুন কবির, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। সহ আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ বেদনাবিধুর ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী। বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। বাঙালির কান্নার দিন। ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি ১৯৭৫ সালের এই দিনে ধানমন্ডি- ৩২ নম্বরের বাড়িতে, বাঙালির ইতিহাস তীর্থে নির্মমভাবে শহিদ হন। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম সেই দিনে বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তার বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। পঁচাত্তরের এই দিনে একাকার হয়েছিল জাতির পিতার রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ঘাতকরা সেদিন মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জাতির পিতার লাশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস। সেই শোক আজও জেগে আছে রক্তরাঙা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনো বাংলায়। রক্তভেজা সেই সিঁড়ি হাহাকার সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঋদ্ধ বাঙালির হৃদয়ে।
যে কান্না কখনো শেষ হওয়ার নয়। সেই নির্মম ঘটনা বর্ণনায় কবি রফিক আজাদ তার ‘এই সিঁড়ি’ কবিতায় লিখেছেন, ‘সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল রক্তের ধারা ব’য়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে।’ অন্যদিকে সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/ যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;/ তাঁরই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-/ চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি। ’বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি।
বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তাই তো আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার অবদান ও চলে যাওয়া নিয়ে রোদন করবে বাঙালি। জাতি, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করে সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোচনাসভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ- নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ।#