পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর পৌরসভার ঝাউতলা সংলগ্ন ফরেস্ট ও হাউজিং কলোনির অভিমুখে কথিত লকডাউন পয়েন্টি এখন মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভয়ারণ্য। তাছাড়া লকডাউন পয়েন্টি এখন ফরেস্ট ও হাউজিং কলোনি তে বসবাসরত ৩৩ পরিবারের জন্য বিষফোড়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পরিবারের ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন। প্রতিদিন সকাল ১০ টার পর থেকে শুরু হয় স্কুল পড়ুয়া কিশোর কিশোরিদের আনা-গোনা। পাশাপাশি পয়েন্টের বিভিন্ন স্থান জুড়ে চলে কিশোর কিশোরিদের বেলাল্লাপনা ও অনৈতিক কর্মকান্ড।
এরপর সন্ধ্যা নেমে এলে লকডাউন পয়েন্টের দৃশ্যপট পাল্টে পরিনত হয় ভাসমান মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবি সহ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষর্থীদের মিলনমেলা। যার ফলে কলোনিতে বসবাসরত পরিবার গুলোর যাতায়াত পথটি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও মাদকাসক্তদের কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও ইপটেজিং এর শিকার হতে হয় কলোনিতে বসবাসরত বয়স্ক মহিলা কিম্বা কিশোরীদের। এব্যপারে কলোনিতে বসবাসরত সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অন্তরালে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও লোকলজ্জা কিম্বা মাদক সেবিদের ভয়ে প্রতিবাদ করছেনা কেউ।
এবিষয়ে কলোনির পাশেই স্থানীয় প্রতিবেশি শহিদ হাওলাদার ও হাবিব চৌকিদার বলেন, একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের পুকুর অবৈধ ভাবে দখল করে কথিত লকডাউন পয়েন্ট এর সৃষ্টি করেছে। এরা আইন কানুন কিছুই মানে না।
তাছাড়া লকডাউন পয়েন্ট থেকে পটুয়াখালী সদর থানা বেশি দুরে নয়। বলতে গেলে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে চলে এই অপকর্ম। অবৈধ দখলের বিষয় পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন। আমি এবিষয়ে অবগত রয়েছি, তাছাড়া এই অবৈধ দখল উচ্ছেদে ইতিমধ্যে নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এবিষয় লকডাউন পয়েন্ট ঘিরে কথিত ভাসমান মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য নিয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পটুয়াখালী জুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযান পরিচালনা করেছি। এবং এই অভিযান চলমান রয়েছে। তাছাড়া লকডাউন পয়েন্ট এর বিষয় আমি অবগত আছি ইতিমধ্যে। অচিরেই লকডাউন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং ভবিষ্যৎ এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।