ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানখুড়ি গ্রামে ছাগলে ক্ষেত খাওয়া’কে কেন্দ্র করে ভাতিজাদের লাঠির আঘাতে চাচা পয়জারুল ইসলাম (৪৮) ও চাচী রিনা আকতার (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছে।আহত’দের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সেনুয়া ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামের পয়জারুল ইসলামের সঙ্গে তার বড় ভাই আহম্মদ আলীর মাঝে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। শনিবার বিকেলে ৪ টার দিকে পয়জারুলের একটি ছাগল সোহেলদের ধনে ক্ষেতে পড়ে।এতে সোহেল দলবল নিয়ে ছাগল’কে ধাওয়া করে পয়জারুলের বাড়িতে চড়াও হয় এবং তাদের গালমন্দ করতে থাকে।
এ সময় পয়জারুলের স্ত্রী রিনা আকতার গালাগালির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং লাঠি সোটা নিয়ে পয়জারুল ও তার স্ত্রী রিনার উপহার চড়াও হয়। ভাতিজা সোহেল, শাহীন এবং রায়হান ও জিল্লুর রহমানের লাঠির আঘাতে পয়জারুল ও তার স্ত্রী রিনা আকতারের মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয়’রা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু রোগীদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা অবধি থানায় মামলা হয়নি। পয়জারুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আকতার বিডিসি ক্রাইম বার্তাকে বলেন, সোহেল, শাহীন, রায়হান ও জিল্লুর তুচ্ছ ঘটনা’কে কেন্দ্র করে আমাদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার স্বামী’কে মারধর করে। আমি দেখে থাকতে না পেরে স্বামী’কে রক্ষার্থে এগিয়ে গেলে তারা আমার উপরও চড়াও হয় এবং মারপিট করে।
এ সময় আমরা মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করলেও তাদের মনে দয়ার উদ্রেক হয়নি। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম নাজমুল কাদের বিডিসি ক্রাইম বার্তা’কে জানান, চাচার হাতে ভাতিজা আহতের সংবাদ পেয়েছি। আহতদের চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।