• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

নবাবগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায়, ইউপি সদস্যর বসতবাড়ি ভাঙচুর

সংবাদদাতা / ১২৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য দিলীপ হালদারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটতরাজ চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৯ জুন শুক্রবার নবাবগঞ্জ থানার যন্ত্রাইল ইউনিয়ন গোবিন্দ পুর গ্ৰামে শিখা হালদার (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্ৰামবাসির ভাষ্য মতে ঐ গৃহবধূর শ্বশুর ও দেবর’দের সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে প্রায় বাকবিতন্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জুন বৃহস্পতিবার শিখা হালদারের শ্বশুর ও দেবর’দের সাথে পুনরায় পারিবারিক কলহ হয়।

পরদিন সকালে শিখা হালদারের শয়নকক্ষে ঘরের আরার সাথে গলায় উরনা পেঁচানো অবস্থায় তাঁকে ফাঁসিতে ঝলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মৃত গৃহবধূর ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, তাঁর সৌদি আরব প্রবাসী স্বামী রতন হালদার খবর পেয়ে পরদিন বাংলাদেশ আসেন।

এই বিষয়ে শিখা হালদারের মা বাদি হয়ে জজকোর্টে ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই বিষয়ে গৃহবধূর চাচা শ্বশুর ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার দিলীপ হালদার বলেন, বৃহস্পতিবার আমার বড় ভাই সুনীল হালদার (শিখা হালদারের শ্বশুর) ও ভাতিজাদের সাথে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়, আমি তাদের ডেকে বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে মীমাংসা করে দেই। পরদিন শিখা হালদারের ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে নবাবগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে যায়।

পরদিন ১০ জুন শনিবার বিকেলে এলাকায় লাশ এলে, এলাকার কতিপয় ব্যক্তি উস্কানি দিয়ে গ্ৰামের সহজ সরল মানুষদের উত্তেজিত করে, আমার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। আমার বড় ভাই ও ভাতিজাদের কারণে যদি শিখা হালদারের মৃত্যু হয়, আইনের মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক এটা আমিও চাই। কিন্তু এই মৃত্যুর ঘটনাকে পুঁজি করে কিছু সন্ত্রাসী আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে ইদ্রিস খাঁনের ছেলে বাবু খানের নেতৃত্বে আমার বসত ভিটা গুড়িয়ে দেয়া হল কেন? বর্তমানে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমার জীবন নিরাপত্তা হীনতায় এখানে সেখানে ভাসমান অবস্থায় চরম আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছি।

আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই এবং যারা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটতরাজ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এবিষয়ে মামলার বাদী সারথী রানী হালদার বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই তাকে হত্যা করা হয়েছে, আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে শিখা হালদারের স্বামী রতন হালদার বলেন, আমার পিতা ও ভাইদের কারণে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করি আমি তাদের সর্ব্বচ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা বিষয়ে বাবু খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে তিনি দাবি করেন এটা আত্মহত্যা নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...