সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে টিয়ারশেল ও রবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তবুও আমরা ৭২ ঘণ্টা রাজপথে থেকে অবরোধ সফল করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমীর খসরু বলেন, তারা মহাসড়ক অবরোধ করে তাণ্ডব চালিয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। এর মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে তারা কুপিয়েছে এবং একজন ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, সকালে পাঁচরুখী এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অবরোধকারীরা বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করেছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।