• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

পতনে বিমা, ৬০০ কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন

সংবাদদাতা / ১৩১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব  প্রতিবেদক: এক কার্যদিবস কিছুটা দাম বাড়ার পরেই আবার দেশের শেয়ারবাজারে বিমা কোম্পানির শেয়ার দামে পতন হয়েছে। এতে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেন বেড়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা হয়ে গেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথমদিন রোববার শেয়ারবাজারে প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ে। এতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচক বাড়ে।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে এসে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমে যায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকা বড় হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ডিএসইতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির। আর ১৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিমা কোম্পানি আছে মাত্র ৬টি। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে

প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফু-ওয়াং ফুডের ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ মনোস্পুল, বিচ হ্যাচারি, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, সোনালী আঁশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টির এবং ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...