প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ওরা দালাল সেন্টিকেট ১/ সাইফুল, ২/ উজ্জ্বল, ৩/ জহির, ৪/ নয়ন মিয়া, ৫/ আব্দুল সালাম, ৬/ বিপ্লব, ৭/ জুয়েল, ৮/ হাসান”সহ আরও ৫/৭ জন মিলে তৈরি করেছেন প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে দালাল সেন্টিকেট, আরও অহরহ দালাল থাকলেও এদেরকে মাসিক মসোহায়ারা দিয়েই অন্যান্য দালাল”রা করতে হয় দালালী, নয়তো দালালী করার কোন সুযোগ থাকেনা! ভয়াবহ এক চিত্র সরকারি মন্ত্রণালয়কে ঘিরে এরা তৈরি করেছেন সেন্টিকেট!
সাইফুলকে হাতেনা হাতে ধরলে সাইফুল প্রথমে পরিচয় দেন আমি মন্ত্রণালয়ের ক্লিনার এর কাজ করি পরে তার পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের ভিতরের গেইট থেকে দৌড়ে পালিয়ে মেইন রোডে আসলে তাকে আমরাও দৌড়ে ধরি পরে সাইফুল বলেন আমাকে ভাইরাল করে দেন আমি ভাইরাল হতে চাই বলে ঘটনার স্থল থেকে সাইফুল পালিয়ে যায়, আমাদের কাছে সাইফুল এর একটু ভাইরাল হতে চাওয়ার ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।
আমাদের উপস্থিত টের পেয়ে আরও অন্যন্য দালালরাও মন্ত্রণালয়ের আসপাশ ত্যাগ করেন।আমরাও হাল ছাড়িনি, পরে সাইফুলকে আবারও আমরা পাই গোপনে সাইফুল জানেন যে আদের এই সেন্টিকেট”কে কেউ কিছুই করতে পারবেনা প্রশাসনতো দূরের কথা! এরা বিশেষ করে নারী প্রবাসী যাত্রীদেরকে টার্গেট করেন! নারী ও পুরুষ ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রতিজন ১০ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা নেন। জটিলতা থাকলে ৪০/৫০ হাজার এক লাখ টাকাও নিয়ে থাকেন। আবার গ্রাম থেকে আসা সহজসরল নারী বিদেশগামী যাত্রীদের পাসপোর্ট আটকিয়ে জিম্মিও করে থাকেন!
প্রবাসী নারীদেরকে সুবিধা করে দেবে বলে পাসপোর্ট নিয়েও ৫০/৬০ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন, কিন্তু প্রবাসী নারী কর্মীরা বিদেশে গেলে ৩০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন সেই টাকা”টাও এরা খেয়ে ফেলেন। প্রতিটি দালাল ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকেন। এই সাইফুলের রয়েছে প্রতারণার মহা সম্রাজ্য, গত বছরে র্যাব-১০ সাইফুলকে আটক করেছিলেন।
প্রবাসীদেরকে করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে ১৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে সাইফুলকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ৯ মাস জেল খেটে জামিনে বাহির হোন, এখনও সাইফুল এর মামলা চলমান আদালতে। সাইফুল ছাড়াও প্রতারণার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এদের সকলের বিরুদ্ধে।