সাদ্দাম হোসেন মুন্না : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্বশুর বাড়ির বসতঘর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইর বিরুদ্ধে। এসময় ঘরে থাকা নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, দুই লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র লুটপাটসহ মোট ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় বন্দর থানার হালুয়াপাড়া আড্ডা এলাকার শাজাহানের বসতবাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাজাহান বাদী হয়ে বন্দর থানার দশদোনা হালুয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো: আমজাদ (৩৮), আবুল হাসান (৩৫), রমজানের ছেলে শাহীন (৩৮) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী শাজাহান অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১২ বছর পূর্বে বিবাদী মো: আমজাদের সাথে আমার মেয়ে সাথী আক্তার (৩১) এর বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই অন্যান্য বিবাদীদের কু-পরামর্শে আমজাদ আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে। ছোট- খাটো বিষয় নিয়ে আমার মেয়েকে মারধর এবং গালি- গালাজসহ ভয়-ভীতি এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকে এবং বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন ও বিক্রয় করে থাকে। আমজাদকে এ রকম অনৈতিক কার্যকলাপ পরিহার করিতে বলিলে সে আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে চলতি মাসের ৪ তারিখে আমার মেয়েকে মারধর করিয়া বাসা থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে চলতি মাসের ১৯ তারিখ বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪ টার দিকে বিবাদীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বসতবাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমার মেয়েকে মারধর করে। আমার মেয়ে সাথী আক্তারকে মারধর থেকে বাঁচাতে আমার ছেলে ওমর ফারুক (৩৩) এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় আমার ছেলে ওমর ফারুক বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এতে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় আমার বসত ঘরে লুটপাট করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়। পরে আমার বসতঘরটি পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এতে ১৫ লাক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষয়-ক্ষতিসহ খুন করার হুমকি প্রদান করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।