হাতে আর মাত্র একদিন, তবে এশিয়া কাপ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। বৃহস্পতিবার (১১ মে) এসিসির বৈঠকের জন্য এরই মধ্যে দুইবাইয়ে রয়েছে পিসিবির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। শুক্রবার (১২ মে) চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছালে, শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপ।
সেপ্টেম্বরে এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে আসতে চাচ্ছে না রোহিত শর্মারা। এদিকে পাকিস্তানও চাচ্ছে না নিরপেক্ষ ভেন্যুতে গিয়ে খেলতে। এ নিয়ে নিয়ে বেশকিছু সময় ধরেই কথার লড়াই চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। তবে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে দুই দেশের বোর্ডকে। চলতি বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপ সবার জন্য একটি প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। পাকিস্তানি মিডিয়ার দাবি, এশিয়া কাপ বাতিল হলে বিকল্প একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের সবকিছু গুছিয়ে রেখেছে পিসিবি।
অন্যদিকে, এশিয়া কাপ বাতিলের পর ওই সময় ভারত বিকল্প একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে। অক্টোবরের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই ভারত তাদের দেশে একটি পাঁচ জাতি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত। বাকি দুটি দলের একটি হতে পারে নেপাল। আর পাকিস্তান তাদের মাঠে আয়োজন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
এশিয়া কাপের চলমান এই ইস্যুটি নিয়ে পিসিবি ‘হাইব্রিড এশিয়া কাপ’ মডেলের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলো। যেখানে বলা হয়েছিলো এশিয়া কাপে সব ম্যাচ পাকিস্তানেই হবে, শুধু ভারতের ম্যাচগুলো অন্য কোনো দেশে অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো নাকি এই তত্ত্বে রাজি হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভারতও আর এগোয়নি।
জিও টিভির খবর, মূলত এশিয়া কাপ বাতিল হলে এসিসির কাছে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটিই নাকি ফয়সালা করতে দুবাই গেছেন নাজাম শেঠি। ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান।
পিসিবির যুক্তি, যদি ভারতের কথামতো তারা এবারো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ করতে রাজি হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও তাদের হাত থেকে ছুটে যেতে পারে। নাজাম শেঠি স্থানীয় মিডিয়ায় সেই শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন।
ভারতীয় বোর্ড বলছে, তাদের সরকার পাকিস্তানে দল পাঠাতে অনুমতি দেবে না। যদি তেমনই কিছু হয়, তাহলে পাকিস্তান সরকারও বিশ্বকাপে ভারতে পাকিস্তান দল পাঠাতে হয়তো দেবে না।