স্টাফ রিপোর্টারঃ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। ব্যাংকটি একসময় ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাশিম আলীসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে ছিল। ব্যাংকটি পরবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধীদের দখল থেকে মুক্ত হলে জামায়াত-শিবির চক্র ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে। দেশবিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
তারা এস. আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ তিনি বলেন, ‘গুজব রটনাকারীদের অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন, অনেকেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম দিকের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। অনেকের নাম-পরিচয় বের করেছে ডিএমপি।
তিনি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগ। তারা হলেন: মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সনামধন্য গ্রুপ এস আলম। তাদের নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে, সেই ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, তাদের বিরুদ্ধে উসকানি শুরু করেছে জামায়াত- শিবির চক্র। তারা বলছে, ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গেছে, সংকট চলছে।
এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখলাম, এটা পুরোপুরি গুজব। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিপত্র বার বার জারি করছে, সেখানে আমরা দেখেছি, দেশে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘যারা না জেনে, ব্যাংকে না গিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের আমরা গ্রেফতার করেছি, আরও অনেকেই নজরধারীতে আছে।
তারা সবাই জামায়াত- শিবিরের সমর্থক। তারা এটি স্বীকার করেছেন এবং আরও অনেকেই নাম বলেছে। আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা আছেন, কারা বিদেশ ও দেশে থেকে এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটার তথ্য আমরা পেয়েছি। পরবর্তীতে সব কিছু তদন্তে বের হয়ে আসবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ যারা ব্যাংকে টাকা নেই এই গুজবটি রটাচ্ছে। টাকা নেই এটি সম্পূর্ণ গুজব।
এমন কয়েক জনের নাম আমরা পেয়েছি। ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সমর্থক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছেন, যেমন অগ্রনী ব্যাংকে দুজন রয়েছে। আমরা তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম জড়িত। তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
এদের মধ্যে মো. আবু সাইদ সাজু এবং খান মোঃ আহসানুল কবির মুলহোতা। তাদের সম্পর্কে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের হেড অফিসে কর্মরত প্রিন্সিপাল অফিসার খান মোঃ আহসানুল কবির রয়েছে আড়ালে। তার বাবা কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তারা ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব রটাচ্ছে; বলছে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলুন। এটা আসলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, দেশের অর্থনীতি কে বিপর্যস্ত করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই তাদের মূল লক্ষ্য।