স্পোর্টস ডেস্কঃ- কেমন হলো ভারত-পাকিস্তানের মহারণ? জবাব আসবে – অসাধারণ, শেষ ওভারের টান টান উত্তেজনায় ঠাসা। দুর্দান্ত বোলিং করেও কেন হেরে গেল পাকিস্তান? সে প্রশ্নে যে কেউ বলবেন – এক নো বলেই ডুবেছে পাকিস্তান! তীরে এসে বাবর আজমদের তরী ডোবানোকে মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান দলের সমর্থকরা। তবে এরইমধ্যে শেষ ওভারে স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের দেওয়া সেই নো বল নিয়ে বির্তক ছড়িয়েছে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসের মতো পাকিস্তানের সাবেক তারকারা। এছাড়া পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক দাবি করেছেন, নো বলের সিদ্ধান্তটি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠানো উচিত ছিল মাঠের আম্পায়ারদের।ম্যাচের পর হতাশার সুরে এ- স্পোর্টসকে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘বলটা ক্রমশ নীচু হয়ে যাচ্ছিল। খালি চোখে দেখে কখনও-ই ওটা নো বল মনে হয়নি। ব্যাটে লাগার আগেই বলটা অনেক নীচু হয়ে গিয়েছিল। তবে আবেদন জানানো কোহলির ওপর কোনো দোষ চাপাননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
এ কিংবদন্তি বোলার বলেন, ‘যে কোনও ব্যাটারই নো বলের দাবি জানাবে। কোহলির কোনো দোষ ছিল না। কিন্তু এত বড় ম্যাচে যেখানে প্রযুক্তি রয়েছে, তা হলে সেটা ব্যবহার করা হোক। কেন ম্যাচ টাকে উত্তপ্ত হতে দেওয়া হল? ‘আমরা ওই সময় ধারাভাষ্য প্যানেলে ছিলাম না। আমি বা ওয়াকার যদি ওখানে থাকতাম, আমরা আমাদের মনের কথা ওখানেই বলতাম।’ওয়াসিমের মন্তব্যে সহমত ওয়াকার ইউনিসের। তিনি বললেন, ‘বল কোমর সমান উচ্চতায় থাকলে স্কোয়ার লেগ আম্পায়ারের প্রথম কাজই হচ্ছে হাত তুলে নো বলের ইঙ্গিত দেওয়া। উনি (মারাইস ইরাসমাস) অভিজ্ঞ আম্পায়ার। সরাসরি নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি রিপ্লে দেখে এবং কোহলি বলার পর নো বল দিলেন। নো বল ছিল কি না, সেই বিতর্কে যেতে চাই না। কিন্তু আম্পায়ারের উচিত ছিল তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
নো-বল চাওয়া বিরাট কোহলির অধিকার মন্তব্য করে এ সাবেক পেসার বলেন, ‘ওর সেটাই করেছে যা করা উচিত। কিন্তু প্রধান আম্পায়ারের সঙ্গে লেগ আম্পায়ারের পরামর্শ করা উচিত ছিল এবং তাদের তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়া উচিত ছিল। এটা থার্ড আম্পায়ারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।#