• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

ভূঞাপুরে যমুনার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

Reporter Name / ১১০ Time View
Update : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে আবারো পানি বৃদ্ধির ফলে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে একে একে ভাঙছে বসতভিটা, ঘরবাড়ি সহ ফসলি জমি। নিঃস্ব হচ্ছে নদী তীরবর্তী অসংখ্য পরিবার।

স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাঙনরোধ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব ভাঙন কবলিত মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে গোবিন্দাসী, নিকরাইল, ও গাবসারা যমুনার করালগ্রাসে একমাসের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

এর মধ্যে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলায়াপাড়া গ্রামের অর্ধশত বসতভিটা, নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া ও গাবসারায় শতাধিক পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামের হাজারো পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নি:শ্ব হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় (০১ জুলাই) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলাপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানির তীব্র স্রোতে বসতভিটা নিমিষেই দেবে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে পড়া লোকজন তাদের থাকার ঘরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো আহাজারি করছে। অনেকেই খোলা আকাশের নীচে যাপন বসবাস করছে।

ভাঙনের শিকার মরিয়ম বেগম বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব। আামাদের এখন থাকার মতো কোন জায়গা-জমি নেই। ঘরে নেই খাওন। এ অবস্থায় সরকারিভাবে কোন ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। খোলা আকাশের নিচে ছেলেপুলে নিয়ে থাকছি। ভাঙন রোধে বস্তা ফেললে আমরা বসতভিটা হারা হইতাম না।

দক্ষতিগ্রস্থ জামাল বলেন, জনপ্রতিনিধিরা শুধু নৌকা দিয়ে দূর থেকে দেখে চলে যায়। ভাঙনরোধে তাদের কোন উদ্যোগ নেই। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, অসংখ্য পরিবার বসতভিটা হারিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে ।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, মাননীয় এমপি ছোট মনির ইউনিয়নের, চিতুলিয়াপাড়া ও ভালকুটিয়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, ভাঙনের ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, ভূঞাপুরে চিতুলিয়াপাড়া অংশে ভাঙ্গন রোধে রবিবার থেকে ৫৫ মিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে আর পাটিতাপাড়া অংশে পর্যায়ক্রমে ১৫০ মিটার জিও ব্যাগ ফেলা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category